আবরারের ৪ উইকেটের পর সাইমের ৭৭-প্রথমবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ জিতল পাকিস্তান
Published: 8th, November 2025 GMT
ওভারের প্রথম বল, দ্রুত রান তোলার তাড়া ছিল না। তবে সালমান আগা ভাবলেন জয় যেহেতু নাগালে, সময়ক্ষেপণের কী দরকার! বাঁহাতি স্পিনার বিওর্ন ফর্টুইনের প্রথম বলেই তাই সালমান উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এলেন। কাভার দিয়ে বল পাঠিয়ে দিলেন বাউন্ডারিতে।
এই বাউন্ডারিতেই ছোঁয়া হয়ে গেল লক্ষ্য। দক্ষিণ আফ্রিকার করা ১৪৩ রান পাকিস্তান পেরিয়ে গেল ৭ উইকেট আর ১৪৯ বল হাতে রেখেই। আবরার আহমেদ ও সাইম আইয়ুবের নৈপুণ্যে পাওয়া যে জয় পাকিস্তানকে এনে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজজয়ও। পাকিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসে ঘরের মাঠে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ জয় এই প্রথম।
ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ জিততে পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল কমই। রান তাড়ার দ্বিতীয় বলে ফখর জামান শূন্য রানে ফিরলেও সাইম আর বাবর আজমের জুটি পাকিস্তানকে রেখেছে জয়ের পথেই।
দ্বিতীয় উইকেটে দুজন ৬৫ রানের জুটি ভাঙে বাবরের রানআউটে। সাবেক অধিনায়ক ৩২ বলে করে যান ২৭ রান।
এরপর আরেক সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়েও সাইম গড়েন ৬৫ রানের জুটি। এই জুটি ভাঙে ফর্টুইনের বলে সাইমের লং অনে ক্যাচ হওয়ার মাধ্যমে। আউট হওয়ার আগে সাইম ১১ চার ও ১ ছক্কায় করে যান ৭০ বলে ৭৭ রান। জয়ের আনুষ্ঠানিকতার বাকি কাজ সারেন রিজওয়ান-সালমান।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা উদ্বোধনী জুটিতেই পেয়েছিল ৭২ রান। কুইন্টন ডি কক ও লুহান-ড্রে প্রিটোরিয়াসের জুটিটি ভাঙেন সালমান। একই বোলার দুই ওভার পরে নেন টনি ডি জর্জির উইকেটে।
তবে প্রোটিয়া ইনিংসে বড় ভাঙন লাগে ২ উইকেটে ১০৬ রান তোলার পর। মাত্র ৩৭ রানের মধ্যে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। এর মধ্যে ৪ উইকেটই নেন লেগ স্পিনার আবরার। ১০ ওভারে ২৭ রানে ৪ উইকেট ওয়ানডেতে তাঁর সেরা বোলিং। ২টি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি আর মোহাম্মদ নেওয়াজ।
বোলিংয়ের এই নৈপূণ্যেই ব্যাটসম্যানদের পথ করে দেয় সহজ জয়ের। যে জয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম সিরিজও জিতল পাকিস্তান। এবারের আগে ২০০৩-০৪ ও ২০০৭-০৮ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা দল পাকিস্তানে খেলে সিরিজ জিতেছিল। দুটি সিরিজই ছিল ৫ ম্যাচের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৭.
পাকিস্তান: ২৫.১ ওভারে ১৪৪/৩ (সাইম ৭৭, রিজওয়ান ৩২*, বাবর ২৭; বার্গার ১/২৯)।
ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক
টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নকে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রণীত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নে সবুজ আগামী’।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদনের মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খানসহ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ড. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “জিআরআই গাইডলাইন্স অনুসরণ করে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক স্থিতি, পরিবেশগত দায়িত্ববদ্ধতা এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
তিনি আরো বলেন, “ভবিষ্যতে গ্রিন ব্যাংকিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, সামাজিক কল্যাণে অতিক্ষুদ্র খাত এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সহযোগিতা ও অর্থায়ন বাড়ানো হবে।”
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংক পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন ও সুশাসনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি গ্রিন ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি-দক্ষ প্রযুক্তি, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ স্থাপনা এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগে অর্থায়নের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক কৃষক ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে।
রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই ব্যাংকিং মানেই শক্তিশালী ও ভালো ব্যাংকিং। এনআরবিসি ব্যাংকের এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সুফল গ্রাহক, ঋণগ্রহীতা ও শেয়ারহোল্ডাররা পাবেন। স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সেবার কারণে সবুজ অর্থায়ন প্রকল্পগুলো গুরুত্ব পাবে, এতে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমবে এবং মুনাফা বাড়বে। আমানতকারী এবং শেয়ারহোল্ডাররা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন যে, তাদের জমানো অর্থ ও বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে না।
ঢাকা/ইভা