রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের অনুপস্থিতি কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে
Published: 8th, November 2025 GMT
রাশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এখনো তাঁর পদে বহাল আছেন, মস্কো থেকে আসা এই এটি নতুন কোনো খবর নয়।
লাভরভ তাঁর পদে আছেন কি না, তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে জোর জল্পনা চলছে। কারণ, গত বুধবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠক থেকেই দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘পূর্ণমাত্রায় পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার সম্ভাবনার’ ঘোষণা দেন পুতিন।
গত শুক্রবার লাভরভের অনুপস্থিতি ঘিরে চলা জল্পনাকে কিছুটা শান্ত করতে চেষ্টা করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এসব প্রতিবেদনের কোনো সত্যতা নেই। লাভরভ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
কিন্তু লাভরভকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জন খবর হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য রাশিয়ার ক্ষমতার ক্রেমলিনের ভেতরের রাজনীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া বোঝাটা জরুরি। বুধবার রাশিয়ার বাণিজ্য-সংক্রান্ত দৈনিক কোমার্স্যান্ট ‘বিষয়টি সম্পর্কে জানে এমন কয়েকটি সূত্রের’ বরাতে জানায়, উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক থেকে লাভরভ ‘সমঝোতার’ ভিত্তিতে অনুপস্থিত ছিলেন।
পর্যবেক্ষকেরা আরও বলেন, রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে একমাত্র লাভরভই বুধবারের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, চলতি মাসের শেষের দিকে ব্রাজিলের জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠেয় জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বেও লাভরভ থাকছেন না। গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) পুতিন এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেনশিয়াল এক্সিকিউটিভ অফিসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ম্যাক্সিম ওরেশকিনকে জি–২০ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিয়োগ দিয়েছেন।
এসব কিছুর কারণে অনেকের প্রশ্ন, পুতিনের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণেই কি লাভরভকে সরিয়ে দেওয়া হলো? এটা কি রাশিয়ার সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্ভাব্য পুনর্গঠনের ইঙ্গিত?
গত বুধবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বৈঠকে লাভরভ অনুপস্থিত ছিলেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ভরভ
এছাড়াও পড়ুন:
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের অনুপস্থিতি কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে
রাশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এখনো তাঁর পদে বহাল আছেন, মস্কো থেকে আসা এই এটি নতুন কোনো খবর নয়।
লাভরভ তাঁর পদে আছেন কি না, তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে জোর জল্পনা চলছে। কারণ, গত বুধবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠক থেকেই দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘পূর্ণমাত্রায় পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার সম্ভাবনার’ ঘোষণা দেন পুতিন।
গত শুক্রবার লাভরভের অনুপস্থিতি ঘিরে চলা জল্পনাকে কিছুটা শান্ত করতে চেষ্টা করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এসব প্রতিবেদনের কোনো সত্যতা নেই। লাভরভ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
কিন্তু লাভরভকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জন খবর হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য রাশিয়ার ক্ষমতার ক্রেমলিনের ভেতরের রাজনীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া বোঝাটা জরুরি। বুধবার রাশিয়ার বাণিজ্য-সংক্রান্ত দৈনিক কোমার্স্যান্ট ‘বিষয়টি সম্পর্কে জানে এমন কয়েকটি সূত্রের’ বরাতে জানায়, উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক থেকে লাভরভ ‘সমঝোতার’ ভিত্তিতে অনুপস্থিত ছিলেন।
পর্যবেক্ষকেরা আরও বলেন, রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে একমাত্র লাভরভই বুধবারের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, চলতি মাসের শেষের দিকে ব্রাজিলের জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠেয় জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বেও লাভরভ থাকছেন না। গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) পুতিন এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেনশিয়াল এক্সিকিউটিভ অফিসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ম্যাক্সিম ওরেশকিনকে জি–২০ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিয়োগ দিয়েছেন।
এসব কিছুর কারণে অনেকের প্রশ্ন, পুতিনের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণেই কি লাভরভকে সরিয়ে দেওয়া হলো? এটা কি রাশিয়ার সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্ভাব্য পুনর্গঠনের ইঙ্গিত?
গত বুধবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বৈঠকে লাভরভ অনুপস্থিত ছিলেন