শিক্ষার্থী পরিবহন সেবা চালু করতে ব্যর্থ গণ বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 8th, November 2025 GMT
প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পরও শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত বাস সেবা চালু করতে ব্যর্থ হয়েছে গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) প্রশাসন।
২০২৪ সালের জুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য সোয়া কোটিরও বেশি টাকায় দুটি ৫২ আসনবিশিষ্ট শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস ক্রয় করে। অথচ শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পরিবহন সেবা কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে।
আরো পড়ুন:
বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন
গবির ক্যান্টিনে ইঁদুর, পচা খাবারে ভরা ফ্রিজ
গত ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো মানিকগঞ্জ ও চন্দ্রা রুটে শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন সেবা চালুর ঘোষণা দেয়। পরে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে মানিকগঞ্জ ও চন্দ্রা রুটে বাস সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ভাড়া জমা দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করতে বলা হয়। তবে নির্ধারিত ভাড়া শিক্ষার্থীদের কাছে অতিরিক্ত মনে হওয়ায় অধিকাংশই রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মানিকগঞ্জ রুটের মাসিক ভাড়া ধরা হয় ১ হাজার ৮০০ টাকা এবং প্রথমবার অগ্রিম সাড়ে ৪ হাজার টাকা। চন্দ্রা রুটে মাসিক ভাড়া ১ হাজার ২০০ টাকা, অগ্রিম ৩ হাজার টাকা। প্রথমবার শিক্ষার্থীদের ২ মাস ১৫ দিনের অর্থ অগ্রিম জমা দিতে হবে এবং পরবর্তী তিন মাস পর পর অগ্রিম অর্থ জমা দিতে হবে।
এর আগে, ২০২২ সালের অক্টোবরে একই রুটে বাস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি।
মানিকগঞ্জ রুটগামী আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক হাসান বলেন, “বাস ভাড়া খুব বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। মানিকগঞ্জ রুটে যদি মাসে ১ হাজার ২০০ টাকা করা হত, তাহলে অনেকেই আবেদন করত। আমরা মাসে গড়ে ২০ দিন যাতায়াত করি, অসুস্থতা বা ক্লাস বন্ধের দিনেও ভাড়া দিতে হবে, এটা অযৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে মুনাফা নয়, তেলের খরচ উঠলেই যথেষ্ট।”
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হাজিরা পদ্ধতি চালু হলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে। তখন যৌক্তিকভাবে ভাড়া নির্ধারণ করলে সবাই উপকৃত হবে।”
চন্দ্রা রুটে যাতায়াতকারী বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলাম রোহিত বলেন, “বাস সেবা চালু হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপকৃত হত। কিন্তু অতিরিক্ত ভাড়া, সময়ের অসুবিধা আর নির্দিষ্ট সময়েই শুধু বাস পাওয়া, এসব কারণে আমি আবেদন করিনি। আগেও দেখেছি হঠাৎ সেবা বন্ধ হয়ে যায়। তাই আস্থা পাইনি।”
পরিবহন পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নিরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য স্যার পরিবহন চালুর অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু মাত্র ৫০-৫৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে, রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে আরো কম। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে ভাড়া বেশি, বিষয়টি উপাচার্যকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে ভাড়া কমানো যেতে পারে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো.
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন কগঞ জ দ র জন য পর বহন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক
টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নকে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রণীত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নে সবুজ আগামী’।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদনের মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খানসহ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ড. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “জিআরআই গাইডলাইন্স অনুসরণ করে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক স্থিতি, পরিবেশগত দায়িত্ববদ্ধতা এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
তিনি আরো বলেন, “ভবিষ্যতে গ্রিন ব্যাংকিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, সামাজিক কল্যাণে অতিক্ষুদ্র খাত এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সহযোগিতা ও অর্থায়ন বাড়ানো হবে।”
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংক পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন ও সুশাসনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি গ্রিন ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি-দক্ষ প্রযুক্তি, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ স্থাপনা এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগে অর্থায়নের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক কৃষক ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে।
রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই ব্যাংকিং মানেই শক্তিশালী ও ভালো ব্যাংকিং। এনআরবিসি ব্যাংকের এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সুফল গ্রাহক, ঋণগ্রহীতা ও শেয়ারহোল্ডাররা পাবেন। স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সেবার কারণে সবুজ অর্থায়ন প্রকল্পগুলো গুরুত্ব পাবে, এতে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমবে এবং মুনাফা বাড়বে। আমানতকারী এবং শেয়ারহোল্ডাররা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন যে, তাদের জমানো অর্থ ও বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে না।
ঢাকা/ইভা