সারারাত ডিউটি শেষে সকালে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
Published: 8th, November 2025 GMT
কুমিল্লার বুড়িচং থানায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্য হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত পুলিশ সদস্যের নাম মো. আশরাফ (৪৩)। তিনি বুড়িচং থানাধীন দেবপুর পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সিমরাইল গ্রামে। তিনি মৃত কামরুল ইসলামের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম প্রধান।
তিনি বলেন, “কনস্টেবল আশরাফ সারারাত ডিউটিতে ছিলেন। সকালে অসুস্থতা অনুভব করলে চিকিৎসার জন্য দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, “নিহতের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। মরদেহ কুমিল্লা পুলিশ লাইনে নেওয়া হবে। সেখানে শ্রদ্ধা জানিয়ে পরবর্তীতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
ঢাকা/রুবেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব: সপু
মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে কিছু প্রশ্ন থাকলেও শেষ পর্যন্ত ত্যাগী ও যোগ্য ব্যক্তির হাতে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু।
শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার জমজম টাওয়ার থেকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালি বের হয়। র্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা ডাকবাংলো মোড়ে গিয়ে পথসভায় মিলিত হয়।
আরো পড়ুন:
বিএনপির জন্ম হয়েছে সংস্কার করার জন্য: ডা. জাহিদ
বিএনপির ৩১ দফা: পাঠ ও বিবেচনা
পথসভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মীর সরফত আলী সপু বলেন, ‘‘মনোনয়ন নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে প্রশ্ন রয়েছে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, চূড়ান্তভাবে ত্যাগী ও যোগ্য ব্যক্তিকেই দল মনোনয়ন দেবে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘জামায়াতের নায়েবে আমীর বলেছেন— আঙুল বাঁকা করতে হবে। এমন বক্তব্যে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি আঙুল বাঁকা হয়, আমাদের আঙুলও সোজা থাকবে না। নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করে সফল হওয়া যাবে না।’’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য মমিন আলী, আব্দুল কুদ্দুস ধীরন, শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মো. আবদুল্লাহকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এখানে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী ও শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মমীন আলী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য গণসংযোগ করছিলেন মীর সরাফত আলী ও মমীন আলী। তারা মনোনয়ন দৌড়েও এগিয়ে ছিলেন। সেই দিক থেকে মাঠের রাজনীতিতে ততটা সক্রিয় ছিলেন না শেখ মো. আবদুল্লাহ। শেখ মো. আবদুল্লাহকে প্রার্থী ঘোষণা করা হলে সরাফত আলী ও মমীন আলীসহ তাদের সমর্থকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা যায়।
ঢাকা/রতন/বকুল