প্রাথমিক শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক
Published: 8th, November 2025 GMT
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ। এ সময় তিনি কর্মবিরতির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন।
শামসুদ্দিন মাসুদ বলেন, ‘‘দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলবে।’’
এর আগে সকালে দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। সকাল ৯টা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো শিক্ষক সেখানে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ।
এ সময় রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও জলকামান প্রয়োগ করে। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন।
উল্লেখ্য, ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন অংশসহ চারটি সংগঠন এ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। সংগঠনগুলো হলো, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি) এবং সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ। এ ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের তৃতীয় ধাপে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও আন্দোলনে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিনটি দাবি হলো- দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি বাস্তবায়ন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা তিন লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। শিক্ষার্থী প্রায় এক কোটি।
ঢাকা/রায়হান//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দশম গ র ড অবস থ ন সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
অচলাবস্থা চলতে থাকলে ২০ শতাংশ ফ্লাইট চলাচল কমিয়ে দেওয়া হবে: ট্রাম্প প্রশাসন
বাজেট পাসকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারে যে অচলাবস্থা (শাটডাউন) তৈরি হয়েছে, তা চলতে থাকলে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোকে তাদের ফ্লাইট চলাচল ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে বাধ্য করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি গতকাল শুক্রবার এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
শাটডাউনকে কেন্দ্র করে সরকারি নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে গতকাল শুক্রবার থেকেই ফ্লাইট কমাতে শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচল কর্তৃপক্ষ (এফএএ) বলেছে, গতকাল দেশের ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে ৪ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল করতে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শাটডাউন শেষ না হলে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে ১০ শতাংশে পৌঁছাবে।
শুক্রবার উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা অনুপস্থিত থাকার কারণে আটলান্টা, সান ফ্রান্সিসকো, হিউস্টন, ফিনিক্স, ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্কসহ ১০টি বিমানবন্দরে কয়েক শ ফ্লাইট দেরি করে ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এফএএ।
ফ্লাইট চলাচলের ওপর নজর রাখা ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ারের তথ্য বলছে, স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০টির বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে।
রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচলের ক্ষেত্রে চার ঘণ্টা পর্যন্ত দেরি হয়েছে। ১৭ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে এবং প্রায় ৪০ শতাংশ ফ্লাইটে দেরি হয়েছে।
রেকর্ড ৩৮ দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারে শাটডাউন বা অচলাবস্থা চলছে। এই সরকারি অচলাবস্থার কারণে বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী ১৩ হাজার কর্মী এবং ৫০ হাজার নিরাপত্তা পরিদর্শককে বেতন ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় উদ্বেগজনকভাবে কর্মীদের উপস্থিতি কমছে। উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকা কর্মীদের গত বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী সপ্তাহেও তাঁরা দ্বিতীয় দফায় কোনো বেতন পাবেন না।
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো শুরু করেছে। এর মধ্যে আমেরিকান এয়ারলাইনস, ডেল্টা, সাউথওয়েস্ট ও ইউনাইটেডের মতো বড় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোও আছে। এই চার সংস্থার প্রায় ৭০০টি ফ্লাইট কমানো হয়েছে।ফেডারেল সরকারের কার্যক্রম চালু করতে তহবিল বরাদ্দের জন্য কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের প্রস্তাবে সম্মতি জানাতে ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপ বৃদ্ধির চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। উড়োজাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপর্যয়কে এ ধরনেরই একটি তৎপরতা বলে মনে করা হচ্ছে।
ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ, এই শাটডাউনের জন্য রিপাবলিকানরাই দায়ী। কারণ, তাঁরা স্বাস্থ্যবিমায় ভর্তুকি বাড়ানো সংক্রান্ত আলোচনায় অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে এবং আরও বেশিসংখ্যক নিয়ন্ত্রণকর্মীর অনুপস্থিতি দেখা গেলে, তিনি উড়োজাহাজ চলাচলে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে ফেলার নির্দেশ দিতে পারেন।
ডাফি বলেন, ‘আমি তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছি। আকাশপথে যা দেখা যাচ্ছে, তার ভিত্তিতেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
রেকর্ড ৩৮ দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারে শাটডাউন বা অচলাবস্থা চলছে। এই সরকারি অচলাবস্থার কারণে বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী ১৩ হাজার কর্মী এবং ৫০ হাজার নিরাপত্তা পরিদর্শককে বেতন ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় উদ্বেগজনকভাবে কর্মীদের অনুপস্থিতি বেড়েছে। উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের গত বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আগামী সপ্তাহেও তাঁরা দ্বিতীয় দফায় কোনো বেতন পাবেন না।গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো শুরু করেছে। এর মধ্যে আমেরিকান এয়ারলাইনস, ডেল্টা, সাউথওয়েস্ট ও ইউনাইটেডের মতো বড় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোও আছে। এই চার সংস্থার প্রায় ৭০০ ফ্লাইট কমানো হয়েছে।
কয়েক দফা চেষ্টার পরও সিনেটে ব্যয় বিল পাসে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারে অচলাবস্থা চলছে। ডেমোক্র্যাটরা ব্যয় বিলে স্বাস্থ্যসেবা খাতকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছে। বিপরীতে রিপাবলিকানরা শুধুই একটি ব্যয় বিলের জন্য চাপ দিচ্ছে। দুই পক্ষ একমত না হওয়ায় সিনেটে কয়েক দফা ভোটাভুটির পরও বিলটি পাস হয়নি। ১০০ আসনের সিনেটে বিলটি পাস হতে ৬০টি ভোটের প্রয়োজন। সিনেটে রিপাবলিকান পার্টির ভোট ৫৩টি।
আরও পড়ুনকংগ্রেসে অর্থ বিল নাকচ, সংকটে ট্রাম্প প্রশাসন০১ অক্টোবর ২০২৫