ফতুল্লায় রেললাইন পারাপারের সময় ট্রেনে কাটা পড়ে এক অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় শাহজাহান রোলিং মিলের সামনে ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ২৮ বছর বয়সী ওই যুবক খাঁ বাড়ি এলাকার রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এতে তার দেহ দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কমলাপুর রেলওয়ে থানার মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: য বক ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে চুরি করে এনে কাটা ড্রেজারটি মাদারীপুরের শাহাবুদ্দিন মোল্লা

বন্দরের কলাগাছিয়ার মোহনপুর নদীর পাড়ে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা আওয়ামীলীগ দোসর মাজহারুল ইসলামের ডকইয়ার্ড থেকে জব্দকৃত কোটি টাকা মূল্যের চোরাই ড্রেজারের প্রকৃত মালিক অবশেষে পাওয়া গেছে। তার নাম শাহাবুদ্দিন মোল্লা।

সে মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি। ৫ আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর শাহাবুদ্দিন মোল্লা গা ঢাকা দেয়।

শাহাবুদ্দিন মোল্লা পলাতক থাকার সুযোগে মাদারীপুর হতে  ২৪ ইঞ্চি কাটিং এস এস মৌরি ড্রেজারটি সংঘবদ্ধ চোরাই সিন্ডিকেট বন্দরের ময়মনসিংহপট্রি সংলগ্ন এলাকায় ডক ইয়ার্ডের পাশে এনে রাখে।

২ মাস পর বন্দরের কথিত যুবদলের নেতা মিনহাজ মিঠু, সেচ্ছাসেবক দলের নেতা পাপ্পু ও যুবদলের হুমায়ুনসহ কয়েকজন নামধারী নেতারা থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে বুধবার রাতে ড্রেজারটি কলাগাছিয়া মোহনপুর এলাকায় নেয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশ ড্রেজারটি আটক করে এবং ২ পুলিশকে পাহাড়া দিতে নিয়োগ করে।

সংঘবদ্ধ চক্র পাহাড়ারত অবস্থায় ২ জনকে মারধর করে ওইদিন গভীর রাতেই মোহনপুর  মাজহারুলের ডকইয়ার্ডে ড্রেজারটি দিনে রাতে গ্যাস দিয়ে কাটার চেষ্টা চালায়। 

ঘটনাটি এলাকাবাসীর গোচরে এলে তারা বন্দর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ২ জনকে আটক করলেও রহস্যজনক কারণে তাদেরকে ছেড়েও দেয়। এ ঘটনার পর পরই ডকইয়ার্ড মালিক পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে উল্লেখিত নেতাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। খবরটি বিভিন্ন মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়লে ড্রেজার মালিক পক্ষের নজরে এলে গতকাল শনিবার ড্রেজার মালিকের চাচাতো ভাই  আতাহার মোল্লা কাগজপত্র নিয়ে অতিরিক্ত এ এস পি(  সার্কেল খ) এর কাছে আসলে পুলিশ যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হয়। 

মালিক পক্ষ কোন আইনি ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী না থাকায় তাদেরকে ড্রেজারটি বুঝাইয়া দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ