দাফনের ৯ মাস ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে তোলা হলো গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ শাহদাত হোসেন ওরফে শাওনের (১৪) লাশ। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের সর্দারপাড়ার পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনবাগ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) কামাল হোসেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন। লাশ তোলার পর ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের শেষ দিন ৫ আগস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয় সেনবাগের কেশরপাড়ার শাহদাত হোসেন। তার বাবা ফ্লাইওভারের নিচে হালিম বিক্রি করতেন এবং পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। শাহদাত তার বাবাকে হালিম বিক্রিতে সাহায্য করত।

শহীদ শাহদাত হোসেনের বড় ভাই মো.

হানিফ বলেন, তাঁর ছোট ভাই যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এরপর তাঁরা বিনা ময়নাতদন্তে ভাইয়ের লাশ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করেন। হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা বাদী হয়ে আদালতে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে পৃথক দুটি মামলা করেন। দুটি মামলাতেই ৪৭ জনকে আসামি করা হয়। আর আদালতের নির্দেশেই আজ কবর থেকে তার লাশ তোলা হলো।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু

বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

ঢাকা/মামুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ