সিলেটে ২ হাজার পানগাছ কেটে ফেলল দুর্বৃত্তরা
Published: 29th, July 2025 GMT
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে দুটি বাগানের দুই হাজার পানগাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের প্রতাপপুর ক্যাম্পসংলগ্ন লামাপুঞ্জি এলাকার বাগানের পান গাছ কেটে ফেলা হয়। এতে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বাগান দুটির মালিক লামাপুঞ্জির খাসিয়া জনগোষ্ঠীর হেডম্যান রিসন কংওয়াং ও গস্মিন ডিখার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিক রিসন জানান, গত রাতে দুর্বৃত্তরা তাদের বাগানের সব পানগাছের ডাঁটা কেটে ফেলেছে। পাহারাদারের কাছে খবর শুনে তারা বাগানে ছুটে গিয়ে কাটা পানের লতাগুলো দেখতে পান।
আরো পড়ুন:
নতুন বাংলাদেশে কেউ প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়: নাহিদ ইসলাম
বানরের আক্রমণ ও সাপ আতঙ্কে দিশেহারা সিকৃবি ছাত্রীরা
রিসন বলেন, ‘‘দুর্বৃত্তরা আমার সব শেষ করে দিয়েছে। আয়ের পথ নষ্ট করে দিয়ে আমাকে রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছে। আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে। এ ঘটনার ন্যায়বিচার চাই।’’ রিসন জানান, এই দুটি বাগানের পানগাছ কেটে ফেলায় তাদের অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
গোয়াইনঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, লামাপুঞ্জি এলাকার দুটি বাগানের পানগাছ কেটে ফেলার খবর জেনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা/নুর/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ব ত তর
এছাড়াও পড়ুন:
সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন
প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।
জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।
অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।
কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।
সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।