দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি গাজায়
Published: 29th, July 2025 GMT
গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে। অবরুদ্ধ উপত্যকায় খাদ্য সহায়তার উপর ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা এবং অব্যাহত লড়াই ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।’ মঙ্গলবার জাতিসংঘ সমর্থিত ক্ষুধা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জীবন বাঁচাতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) এর সতর্কতায় বলা হয়েছে, “ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে ব্যাপক অনাহার, অপুষ্টি এবং রোগ ক্ষুধাজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বর্তমানে গাজা উপত্যকায় দেখা দিচ্ছে “
এই প্রথমবারের মতো আইপিসি জানিয়েছে, গাজায় দুর্ভিক্ষ চলছে। অবশ্য এর আগে সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, অঞ্চলটি দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে। প্রায় দুই বছরের যুদ্ধের সময়, ইসরায়েল বারবার গাজায় পৌঁছানো ত্রাণ ট্রাক সীমিত করেছে, কখনো কখনো ত্রাণ সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।
গাজায় এমন সময় দুর্ভিক্ষের সতর্কতা জারি করা হয়েছে যখন গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
আইপিসি- এর বার্তায় দুর্ভিক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে এমন একটি পরিস্থিতি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে যেখানে কমপক্ষে ২০ শতাংশ মানুষ চরম খাদ্য ঘাটতির সম্মুখীন হয়, তিনজনের মধ্যে একজন শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভোগে এবং প্রতি ১০ হাজার জনের মধ্যে দুজন প্রতিদিন অনাহারজনিত কারণে মারা যায়।
আইপিসির সতর্কতায় বলা হয়েছে, গাজার বেশিরভাগ এলাকায় “প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন ব্যক্তি দিনের পর দিন খাবার ছাড়াই কাটাচ্ছেন।”
জুলাইয়ের প্রথমার্ধে শিশু অপুষ্টির হার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গাজা শহরে দুর্ভিক্ষের সীমায় পৌঁছেছে। হাসপাতালগুলি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষুধাজনিত মৃত্যু দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৭ জুলাই থেকে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে ২০ হাজারেরও বেশি শিশুকে তীব্র অপুষ্টির চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে তিন হাজার শিশু গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছিল।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর স থ ত জন র ম আইপ স সতর ক
এছাড়াও পড়ুন:
ভর্তি পরীক্ষা: রাবি আইন অনুষদে থাকবে লিখিত পরীক্ষা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আইন অনুষদে (আইন বিভাগ এবং আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগ) ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বসতে হবে লিখিত পরীক্ষায়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে সর্বোচ্চ নাম্বারপ্রাপ্ত ১৬০ জন আইন অনুষদে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ ওয়াহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
রাবি ছাত্রীর মৃত্যুর ৩ দিনেও তৈরি হয়নি প্রতিবেদন, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রাবির সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন
তিনি বলেন, “আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে দাবি করে আসছিলাম, যেন ইংরেজি বিভাগের মতো আইন অনুষদেও লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। আজকের অনুষ্ঠিত ‘এ’ ইউনিটের প্রধান কো-অর্ডিনেটরের মিটিংয়ে সেই দাবি অবশেষে সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হয়েছে।”
কী উপায়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তা শিগগিরই জানানো হবে বলে জানান ডিন।
গত কয়েক বছর ধরে রাবির ইংরেজি বিভাগ লিখিত পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং সর্বোচ্চ মার্কসধারী শিক্ষার্থীদেরই ভর্তি করে থাকে।
এদিকে, গত ৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের ভর্তি পরীক্ষা 'সি' ইউনিট (বিজ্ঞান) দিয়ে শুরু হবে। ১৬ জানুয়ারি 'সি' ইউনিট (বিজ্ঞান), ১৭ জানুয়ারি 'এ' ইউনিট (মানবিক) এবং ২৪ জানুয়ারি 'বি' ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে আরো বলা হয়, এ বছরে সিলেকশন থাকবে না। দুই শিফটে পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রথম শিফটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে ১২টা এবং দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা বিকাল ৩টা থেকে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এবারের ভর্তি পরীক্ষা রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুর ও বরিশাল বিভাগে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদনের যোগ্যতা বিষয়ে বলা হয়েছে, ভর্তির জন্য মানবিক ও বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় পৃথকভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ মোট জিপিএ ৭.০০ এবং বিজ্ঞান শাখায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে। ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত জিপিএ ৫.০০ স্কেলে নির্ধারিত হবে।
জিসিই ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় পাঁচটি বিষয়ে এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় অন্তত দুইটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় লেভেলে মোট সাতটি বিষয়ের মধ্যে চারটি বিষয়ে কমপক্ষে ‘বি’ ও তিনটি বিষয়ে কমপক্ষে ‘সি’ গ্রেড পেতে হবে।
ইংরেজি প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক প্রার্থীকে চূড়ান্ত আবেদনকালে অবশ্যই ইংরেজি প্রশ্নপত্রের জন্য অতিরিক্ত ফরম পূরণ করতে হবে। এছাড়া ইউনিট/বিভাগ/ইনস্টিটিউট কর্তৃক আরোপিত শর্তও প্রযোজ্য হবে। প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ সাপেক্ষে আবেদনকারী সব শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
আবেদন ফি নিয়ে বলা হয়েছে, ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ৩২০ টাকা, ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ১০০ টাকা ও ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ৩২০ টাকা। সকল ফি ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জসহ।
এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের এক ঘণ্টাব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় প্রতি ইউনিটে ৮০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতি চারটি ভুলের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৪০। অনলাইনে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী কোটায় (মুক্তিযোদ্ধার পুত্র/কন্যা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, খেলোয়াড় ও বিকেএসপি) ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে।
ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও প্রযোজ্য শর্ত পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট http://admission.ru.ac.bd ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যাবে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী