বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বিদেশি অতিথির অংশগ্রহণে চীনের গানসু প্রদেশে রেশম পথের ঐতিহ্য ও আধুনিক সংস্কৃতির মেলবন্ধন উপভোগ করতে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাত দিনব্যাপী ভ্রমণ ‘এক্সপ্লোর গানসু’।

এই ভ্রমণের মূল প্রতিপাদ্য হলো, প্রাচীন রেশম পথের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে আধুনিক যুগের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং প্রদেশটির বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক পরিচয়কে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা।

সাত দিনব্যাপী ‘এক্সপ্লোর গানসু’ নামে ভ্রমণটি গানসু প্রদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও স্থানীয় সরকারের ব্যবস্থাপনায় চীনের প্রভাবশালী গণমাধ্যম চায়না ডেইলি আয়োজন করে।

আরো পড়ুন:

চীনে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত, বেইজিংয়ে নিহত ৩০

চীনে ভারী বৃষ্টিপাতে ৪ জনের মৃত্যু, ১১টি প্রদেশে বন্যার সতর্কতা জারি

এই আয়োজনে ভ্রমণকারীরা ঘুরে দেখেছেন তিব্বতি সংস্কৃতি, প্রাচীন হান সাম্রাজ্যের নিদর্শন, মরুভূমির ভাস্কর্য এবং এমনকি ‘মঙ্গল গ্রহ’-এর মতো বৈজ্ঞানিক অভিজ্ঞতা।

রেশম পথের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি অন্বেষণের জন্য একটি অনন্য যাত্রায় বাংলাদেশে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউক্রেন, পাকিস্তান, এবং ইয়েমেনসহ ১০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে।

এই ট্যুরের মাধ্যমে গানসু প্রদেশ শুধু তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শনই নয়, বরং আধুনিক উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোকেও বিশ্বদরবারে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এআইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালাচ্ছে হ্যাকাররা
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫