আজকের আলিম, কারিগরি ও কুমিল্লা বোর্ডের সব পরীক্ষা স্থগিত
Published: 10th, July 2025 GMT
বন্যা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিমের আজকের সারা দেশের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারা দেশের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের বৃহস্পতিবারের পরীক্ষাও।
বুধবার (৯ জুলাই) রাতে আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বুধবার রাত সোয়া ১০টায় মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান আলিমের পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য নিশ্চিত করেন।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (কারিকুলাম) প্রকৌশলী মো.
অন্যদিকে, বুধবার রাত পৌনে ১০টায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক রুনা নাছরীন বলেন, “টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালীসহ বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে অনেক এলাকার পরীক্ষাকেন্দ্র প্লাবিত হওয়ায় পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না।”
পরীক্ষানিয়ন্ত্রক আরো বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বন্যাপরিস্থিতির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবহিত করার পর রাতে পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত আসে। স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে।”
ঢাকা/হাসান/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে সিটি কলেজে বিক্ষোভ
ঢাকা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ কাজী নেয়ামুল হকের পদত্যাগ দাবিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলেজ ক্যাম্পাস। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এইচএসসি ২৬তম ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থীর উদ্যোগে কলেজের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে ১০টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কলেজের বাইরে বিক্ষোভ করেন। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের আহ্বানে একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। তাদের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও ভেতরে ঢোকেন। প্রবেশের কিছুক্ষণ পর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে শিক্ষকদের কমনরুমের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক প্রতিনিধিদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে দুই শিক্ষার্থী কাচের জানালায় ধাক্কা লেগে আহত হন। তারা হলেন- মেহেদী হাসান তানিম ও অপু। দু'জনই এইচএসসি ২৬ ব্যাচের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ধানমন্ডির পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, কাজী নেয়ামুল হক নিজেকে স্বঘোষিত অধ্যক্ষ দাবি করে কলেজ পরিচালনায় স্বেচ্ছাচারিতা করছেন। তার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
ঘটনার জেরে কলেজ কর্তৃপক্ষ একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত করে। সংঘর্ষের পর আন্দোলনরতদের একাংশ কলেজের ভেতরে অবস্থান নেন; অন্যদিকে সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি দল কলেজের বাইরে একত্র হন। তবে কলেজ সংলগ্ন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।