বন্যা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিমের আজকের সারা দেশের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারা দেশের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের বৃহস্পতিবারের পরীক্ষাও।

বুধবার (৯ জুলাই) রাতে আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বুধবার রাত সোয়া ১০টায় মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান আলিমের পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য নিশ্চিত করেন।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (কারিকুলাম) প্রকৌশলী মো.

আনোয়ারুল কবীর বলেন বলেন, “কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং, এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।”

অন্যদিকে, বুধবার রাত পৌনে ১০টায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক রুনা নাছরীন বলেন, “টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালীসহ বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে অনেক এলাকার পরীক্ষাকেন্দ্র প্লাবিত হওয়ায় পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না।”

পরীক্ষানিয়ন্ত্রক আরো বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বন্যাপরিস্থিতির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবহিত করার পর রাতে পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত আসে। স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে।”

ঢাকা/হাসান/ইভা

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

এইচএসসিতে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান কমেছে হাজারের বেশি

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এবার মাত্র ৩৪৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থী পাস করেছে, যেখানে গত বছর (২০২৪) ছিল ১ হাজার ৩৮৮টি। এক বছরের ব্যবধানে ১ হাজার ৪৩টি কম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের তালিকায় এসেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের সব শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফলাফল প্রকাশ করে। প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সারাদেশে ২,৮০০টি কেন্দ্রে ৯,৩০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন। 

এর মধ্যে ২০২টি প্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি, যা শিক্ষার মান ও প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

এ বছর মোট ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জন। আর ছাত্র ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ জন। ছাত্রীদের গড় পাসের হার ৬২.৯৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৫৪.৬০ শতাংশ।

এবারের এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৮.৬৭ শতাংশ, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৫৫.৫২ শতাংশ ও মানবিক বিভাগে ৫০.৫৪ শতাংশ। 

এদিকে, ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd-এর মাধ্যমে ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টাঙ্গাইলের দুই বোন এইচএসসিতে জিপিএ-৫, হতে চান ম্যাজিস্ট্রেট
  • ভিকারুননিসায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে
  • রাজশাহীতে পাসের হার ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ 
  • এইচএসসিতে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান কমেছে হাজারের বেশি
  • বিমা কোম্পানিরও আছে পেনশন, কী কী আছে
  • এই সংস্কারের কোনো আইনগত বৈধতা নেই, মানুষের সমর্থন নেই: জি এম কাদের
  • গাজায় যেভাবে ইসরায়েলের পরাজয় আর ফিলিস্তিনের পুনর্জন্ম হলো
  • হামাসকে নিরস্ত্র করার প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের, কিন্তু কীভাবে তা বললেন না
  • শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত, কারণ অনিবার্য