মেহেরপুরে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ
Published: 30th, July 2025 GMT
মেহেরপুরের গাংনীতে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পিটুনি দিয়েছেন এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ব্যক্তির নাম আবদুর রওফ। তিনি মেহেরপুর পৌর শহরের মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বাঁশবাড়িয়ার পল্লিচিকিৎসক আবদুল মাবুদের কাছে ২০ হাজার টাকার দাবি করে আসছিলেন আবদুর রওফ। এই অর্থ না দিলে স্থানীয় পত্রিকায় মাবুদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ছাপানোর ভয় দেখান রওফ। মুঠোফোনে চাঁদা দাবির পর গতকাল বিকেলে চাঁদা নিতে গেলে এলাকার কয়েকজন তাঁকে পিটুনি দেন। পরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে জানালে সেনাসদস্যরা রওফকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
আবদুল মাবুদ প্রথম আলোকে বলেন, রওফ কয়েক মাস ধরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব দিয়ে আটকের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। রওফ মুঠোফোনে বলেছিলেন, সবাইকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে হয়। টাকা না দিলে মাবুদকে চিকিৎসা করতে দেওয়া হবে না। গতকাল তিনি চাঁদা নিতে এলে এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ সময় রওফকে ধরে মারধর করা হয়।
আবদুর রওফের বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে মল্লিকপাড়ার কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে রওফ এ ধরনের প্রতারণা করে আসছিলেন। এর আগে ভুয়া চিকিৎসক সেজে চাঁদা নিতে গেলে জনতা তাঁকে বেঁধে মারধর করেন। পরে প্রতারণার অভিযোগে তাঁকে কারাগারে পাঠান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ঘটনায় রওফের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল। তিনি বলেন, ওই ভুয়া সাংবাদিককে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেহেরপুরে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ
মেহেরপুরের গাংনীতে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পিটুনি দিয়েছেন এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ব্যক্তির নাম আবদুর রওফ। তিনি মেহেরপুর পৌর শহরের মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বাঁশবাড়িয়ার পল্লিচিকিৎসক আবদুল মাবুদের কাছে ২০ হাজার টাকার দাবি করে আসছিলেন আবদুর রওফ। এই অর্থ না দিলে স্থানীয় পত্রিকায় মাবুদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ছাপানোর ভয় দেখান রওফ। মুঠোফোনে চাঁদা দাবির পর গতকাল বিকেলে চাঁদা নিতে গেলে এলাকার কয়েকজন তাঁকে পিটুনি দেন। পরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে জানালে সেনাসদস্যরা রওফকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
আবদুল মাবুদ প্রথম আলোকে বলেন, রওফ কয়েক মাস ধরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব দিয়ে আটকের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। রওফ মুঠোফোনে বলেছিলেন, সবাইকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে হয়। টাকা না দিলে মাবুদকে চিকিৎসা করতে দেওয়া হবে না। গতকাল তিনি চাঁদা নিতে এলে এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ সময় রওফকে ধরে মারধর করা হয়।
আবদুর রওফের বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে মল্লিকপাড়ার কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে রওফ এ ধরনের প্রতারণা করে আসছিলেন। এর আগে ভুয়া চিকিৎসক সেজে চাঁদা নিতে গেলে জনতা তাঁকে বেঁধে মারধর করেন। পরে প্রতারণার অভিযোগে তাঁকে কারাগারে পাঠান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ঘটনায় রওফের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল। তিনি বলেন, ওই ভুয়া সাংবাদিককে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।