ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা, নিয়মিত ছাত্রত্ব নেই সভাপতি ও সম্পাদকের
Published: 30th, July 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ১১ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজের বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুলতান আহমেদ (রাহী)। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সংগীত বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সর্দার জহুরুল ইসলাম। তাঁদের কারও নিয়মিত ছাত্রত্ব নেই।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো.
কমিটিতে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হয়েছেন শাকিলুর রহমান, সহসভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন মেহেদী হাসান, সাবিহা আলম (মুন্নি), জান্নাতুন নাঈম (তুহিনা)। জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শফিকুল ইসলাম (শফিক), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তাহের রহমান ও জাহিন বিশ্বাস (এষা)। সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন মাহমুদুল ইসলাম (মিঠু) এবং দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাফিউল জীবন।
বিজ্ঞপ্তিতে আংশিক কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সম্মেলনের মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সব হল কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হল কমিটি গঠনের পর সম্মেলনের মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, সবশেষ ২০২১ সালের ১৬ জুলাই ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। নতুন সভাপতি সুলতান আহমেদের আগের কমিটিতে আহ্বায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ইসলাম যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের কারও নিয়মিত ছাত্রত্ব নেই।
সুলতান আহমেদের দাবি, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সন্ধ্যাকালীন মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি আছেন। আর সর্দার জহুরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজের ভাষা শিক্ষার শর্ট কোর্সে ভর্তি আছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র ল ইসল ম ক কম ট
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।
এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।
এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।
সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।
শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।
পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’