ভোলার ধনিয়া-শিবপুরের বাঁধের বাইরের ৭০০ পরিবার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত
Published: 30th, July 2025 GMT
বৃষ্টির সঙ্গে উঁচু জোয়ারে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ভোলার মানুষ। সদর উপজেলার শিবপুর-ধনিয়া ইউনিয়নের বন্যা-জলোচ্ছ্বাস রক্ষাবাঁধের বাইরে অনেক ভিটেবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। অনেকে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। এক সপ্তাহ ধরে চলছে এ পরিস্থিতি। প্রতিনিয়ত বড় আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।
শিবপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের কালিকীর্তি গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম (৩২)। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে দিনের জোয়ারে পানি উঠে বাড়ির উঠান, পুকুর, বাগান, এমনকি বসতঘরের ভেতর পানি ঢুকতে শুরু করে। পানি ওঠার পরে চার–পাঁচ ঘণ্টা থাকে। পরে আস্তে আস্তে নামতে থাকে। বৃহস্পতি, শুক্র, শনিবার একই রকম দুপুরের পরে জোয়ারের পানি ঘরে উঠেছে। রোববার থেকে জোয়ারের উচ্চতা কমতে থাকে। তা–ও বাড়ির উঠান ডুবে যায়, সঙ্গে আছে বৃষ্টি। গতকাল মঙ্গলবার বাড়ি, রাস্তাঘাট, পুকুর-বাগান সব ডুবে যায়। রাতের জোয়ারের উচ্চতা কম থাকে, নইলে বিপদের শেষ ছিল না।
আবুল কালামের মতো ভোলার সদর উপজেলার শিবপুর-ধনিয়া ইউনিয়নের বন্যা-জলোচ্ছ্বাস রক্ষাবাঁধের বাইরে বসবাস করা প্রায় ৭০০ পরিবার জোয়ারের পানিতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। তারা এ সমস্যার সমাধানে সরকারের কাছে দ্রুত প্রকল্প গ্রহণের দাবি জানায়।
বিষয়টি নজরে আনা হলে ভোলার জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান বলেন, জোয়ার-জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্তদের উন্নয়নের জন্য কোনো প্রকল্প নেওয়ার আগে প্লাবিত অঞ্চল পরিদর্শন করতে হবে। আপাতত তাঁদের জন্য খাদ্যসহায়তা দেওয়ার চিন্তা আছে।
মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, দিনভর থেকে থেকে বৃষ্টির সঙ্গে যোগ হয়েছে জোয়ারের পানি। তাই রাস্তাঘাট, উঠান সর্বত্র কর্দমাক্ত। পানি নামতে না নামতেই আবার পানি উঠছে। মাটির ঘরের ভিটায় পলিথিন, প্লাস্টিক, জালকাটা, জিওটেক্সটাইলের বস্তাসহ নানা জিনিস দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, পানির ঝাপটায় তারপরও ক্ষতি হয়েছে। গাছের শিকড় বেরিয়ে পড়েছে। বাঁধের তীর ক্ষয়ে গেছে। নদীর তীরে ফেলা বালুভর্তি জিও ব্যাগ সরে যাচ্ছে। বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা।
ওঠা উচ্চ জোয়ারে ভেঙে যাচ্ছে বন্যা-জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। শঙ্কিত মানুষ। মঙ্গলবার বিকেলে ভোলার সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ভোলাখালের মাথা এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জল চ ছ ব স
এছাড়াও পড়ুন:
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি
২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।
তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।
কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন