হারের পর লিটন বললেন, ‘সামনে এখনো দুটি ম্যাচ আছে'
Published: 29th, May 2025 GMT
হারের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ হেরে সিরিজটা খুইয়ে এসেছিলেন লিটনরা। এখন পাকিস্তানে যাওয়ার পর সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারই সঙ্গী হয়েছে তাঁদের। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে কাল তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ হেরেছে ৩৭ রানে।
এরপর বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে এসে বলেছেন ঘুরে দাঁড়ানোর কথা, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (হতাশাজনক)। ম্যাচজুড়ে আমরা ভালো ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করিনি। আমি কোনো কিছু বলছি না.
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সামনে ২০২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল পাকিস্তান। ওই রান তাড়ায় বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৬৪ রানে। এই রান তাড়া কি সম্ভব ছিল? লিটন হ্যাঁবোধক উত্তরই দিলেন, ‘আমি নিশ্চিত এই মাঠে ২০০ রান তাড়া করা সম্ভব (ছিল)। কারণ এই মাঠ খুবই গতিময়। উইকেটও ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো। আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি।’
বাংলাদেশের ইনিংসজুড়েই ছিল পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের এমন উল্লাসের দৃশ্যউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই ম ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ৬ আগস্ট
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন হবে কি না, সে বিষয়ে আদেশ আগামী ৬ আগস্ট।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ আজ বুধবার এ তারিখ ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। এই মামলায় ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ আসামি পলাতক।
আরও পড়ুনআবু সাঈদ হত্যা: ‘ঘটনাস্থলে ছিলেন না’ দাবি করে দুই আসামির অব্যাহতির আবেদন২৯ জুলাই ২০২৫আজ শুনানির সময় গ্রেপ্তার ছয়জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এর আগে এই মামলায় পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত চারজন আইনজীবী ও গ্রেপ্তার আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে দুই দিন শুনানি করেন। আর প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মামলায় অভিযোগ গঠনের আরজি জানান।
গত ৩০ জুন আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।