নিউ জিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন আরো একবার নিজেকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। দেশের বাইরে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উইলিয়ামসন।

শুধু তিনিই নন, ডেভন কনওয়ে, লোকি ফার্গুসন, ফিন অ্যালেন, টিম সেইফার্ট ও টিম সাউদিও নেই কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। টিম সাউদি বাদে বাকিরা প্রত্যেকেই এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত।

তাদের অনুপস্থিতি ও ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া চার কিউই ক্রিকেটার। সম্প্রতি দুটি চারদিনের ও তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দল। সেই দলের চার ক্রিকেটার- মোহাম্মদ আব্বাস, জ্যাক ফোলকস, মিচ হে এবং আদী অশোক প্রথবারের মতো কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা করে নিয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের থেকে বড় প্রত্যাশা করছে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট। লম্বা সময় ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন, জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন বলেই বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।

সবশেষ চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন লেগ স্পিনার ইশ শোধী, বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেল এবং অলরাউন্ডার জশ ক্লার্কসন। অবসর নিয়েছেন টিম সাউদি।

উইলিয়ামসন ক‌্যারিয়ারের শেষ দিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়েছেন। গত বছর কিউইদের হয়ে ১৩ টেস্টের নয়টিতে খেলেছিলেন তিনি। রান করেছিলেন হাজারেরও বেশি। জুলাইয়ের শেষ দিকে জিম্বাবুয়েতে দুটি টেস্ট ম্যাচ আছে নিউ জিল্যান্ডের, যেটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। এই সিরিজে তাকে পাওয়া যাবে না।

এরপর ডিসেম্বরের শেষ দিকে কেবল তিনটি টেস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ঘরের মাঠে সেই সিরিজটি হয়তো খেলতে পারেন নিউ জিল্যান্ডের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। 

নিউ জিল্যান্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার: মোহাম্মদ আব্বাস, মিচ হে, আদী অশোক, টম ব্লান্ডেল, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপম্যান, জ্যাকব ডাফি, জ্যাকারি ফোকস, ম্যাট হেনরি, কাইল জেমিনসন, টম ল্যাথাম, ড্যারেল মিচেল, হেনরি নিকোলস, উইল ও’রোক, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রাভিন্দ্রা, মিচেল স্যান্টনার, বেন সিয়ার্স, ন্যাখান স্মিথ ও উইল ইয়াং।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ