প্রচলিত গোয়েন্দারা যেমন হয় ‘মির্জা’ ঠিক তেমন না। সে মোটাসোটা, খুব একটা সুদর্শন না, দৌড়াতে পারে না, মারামারিও করতে পারে না। বয়স পঞ্চাশ। আর তার বোনদের একটাই লক্ষ্য, তাকে বিয়ে দেওয়া। কোনো একটা গোয়েন্দা চরিত্রের পরিচয় যদি এ রকম হয়, তবে বোঝাই যায় চরিত্রটি মজার হতে বাধ্য। ‘মির্জা’ ওয়েব ফিল্মের মির্জাও সেরকম একটি চরিত্র। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘বঙ্গ’তে গত ২৩ মে মুক্তি পেয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘মির্জা–চ্যাপ্টার: ক্লাব ২৯’। গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন সুমন আনোয়ার।

একনজরে
সিনেমা: ‘মির্জা–চ্যাপ্টার: ক্লাব ২৯’
ধরন: ক্রাইম থ্রিলার
পরিচালক: সুমন আনোয়ার
স্ট্রিমিং: বঙ্গ
রানটাইম: ১ ঘণ্টা ৫ মিনিট
মুখ্য চরিত্রে: মোশাররফ করিম, পারসা ইভানা, জুনায়েদ বোগদাদী, তামান্না হক বর্না, তৈয়বা রহমান ঐশী, দিলরুবা হোসাইন দোয়েল

প্রাইভেট ডিটেকটিভ মির্জা গোলাম হাফিজ। একদিন সকালে তার কাছে ছুটে আসে লুনা। এসে বলে তার বোন লিজাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে যেন মির্জা খুঁজে বের করে। লিজা খোঁজার অভিযানে বের হয় ডিটেকটিভ মির্জা। সূত্র ধরে এগিয়ে যেতে বের হয়ে আসতে থাকে একের পর এক ঘটনা। আরও মেলে এক লাশ! পুলিশকে সে খবর দিতে গিয়ে মির্জাই হয়ে ওঠে পুলিশের অন্যতম সন্দেহভাজন। মির্জা কি পারে রহস্য সমাধান করতে? নাকি নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনে?

সুমন আনোয়ার এখন অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয়, ওটিটির সিনেমা ও সিরিজে খল চরিত্রে তাঁকে ছাড়া যেন চলেই না। তবে সুমন আনোয়ার তো আদতে নির্মাতা। তাঁর নির্মিত ‘রাতারগুল’, ‘কালাগুল’, ‘সদরঘাটের টাইগার’ ইত্যাদি কাজগুলো আলোচিত হয়েছে।

আরও পড়ুনসাইফ, এই সিনেমা আপনি কেন করলেন৩০ মে ২০২৫

তবে ইদানীং তাঁকে খুব বেশি নির্মাণে দেখা যায়নি। বিরতির পর পরিচালনায় ফিরে কেমন করলেন তিনি? গোয়েন্দা গল্পের ক্ষেত্রে চরিত্র নির্মাণ একটি বড় বিষয়। মির্জা চরিত্র নির্মাণে নির্মাতা এমন বৈশিষ্ট্যের মানুষকে বেছে নিয়েছেন যে মনে হবে আমাদের চারপাশের একজন ব্যক্তি ‘মির্জা’।

‘মির্জা’র পোস্টার। বঙ্গর ফেসবুক থেকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ