চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা
Published: 4th, June 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চুয়াডাঙ্গা জেলার সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ১৯ সদস্যের এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে খাজা আমিরুল বাশারকে প্রধান সমন্বয়কারী এবং আমির হোসেনকে প্রথম যুগ্ম সমন্বয়কারী করা হয়েছে।
দলটির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর স্বাক্ষরিত প্যাডে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে ১ জন প্রধান সমন্বয়কারী, ৪ জন যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ১৪ জন সদস্য রয়েছেন। কমিটির সদস্যদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর ছাড়াও দামুড়হুদা, জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার নেতারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারীরা হলেন নুর ই আরাফাত হিরন, মো.
প্রধান সমন্বয়কারী খাজা আমিরুল বাশার একটি বিমা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। প্রথম যুগ্ম সমন্বয়কারী আমির হোসেন দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে ব্যবসা শুরু করেন এবং এনসিপির রাজনীতিতে যুক্ত হন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘সবার সঙ্গে আলোচনা করেই প্রাথমিকভাবে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাউন্সিলের মাধ্যমে পরবর্তী আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হবে। আমরা আশা করি, এই কমিটি চুয়াডাঙ্গায় নতুন ধারার রাজনীতির সূচনা করবে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য গ ম সমন বয়ক র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের আগের দিন আরেকটি ঈদ হয়ে যেত
ছোটবেলার কুরবানির ঈদ খুব আনন্দের ছিলো। আমার বেড় ওঠা ঢাকায়। ইকবাল রোডে আমার বাবার বাড়ি। সাড়ে বারো কাঠা জায়গা নিয়ে ছিল আমাদের বাড়িটা। ঘরের সামনে বিরাট উঠান ছিলো। কুরবানির জন্য কেনা গরু ওই উঠানে রাখা হতো। শুধু আমাদের গরু না, মামা, খালাদের কেনা গরুও ওই একই উঠানে রাখা হতো।
ঈদের আগের দিন বাবা, মামারা সবাই একসঙ্গে গরু কিনতে যেতেন। মামারা গরু কিনতে যাওয়ার আগে আমাদের বাড়িতে আসতেন। মা অনেক রকম খাবার রান্না করতেন। যেমন— খিচুরি, মুরগির মাংস, ডিম ভাজি। সবাই একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে গাবতলী হাটে গরু কিনতে যেতেন। বড়দের সঙ্গে আমিও যেতাম। বিকালের আগে গরু কিনে বাসায় ফিরে আসতাম। রাতে আবার সবাই একসঙ্গে খেতো। এবং পরের দিনের গরু কুরবানির প্ল্যানিং হতো। অবশ্য বিকালের পরে নারীরা অর্থাৎ নানী, খালারা সবাই আসতেন গরু দেখতে। বাড়িটা উৎসবমুখর হয়ে উঠতো। সবমিলিয়ে আমাদের বাড়িতে ঈদের আগের দিন আরেকটি ঈদ হয়ে যেত।
সেই সময় সবাই একসঙ্গে ঈদ করা হতো। বাড়ির উঠানেই গরু কুরবানি করা হতো। মাংস ভাগ করে বিলানো হতো। এরপর মামা, খালারা তাদের ভাগের মাংস নিয়ে বিকালে নিজেদের বাড়িতে চলে যেতেন। এই যে ঈদের আগের দিন গরু কেনা থেকে কুরবানি এই সময়টুকুতে আত্মীয় স্বজনেরা সবাই মিলে একটি পরিবার হয়ে উঠতো।
আরো পড়ুন:
চলতি মাসে মুক্তি পাবে আলোচিত পাঁচ সিনেমা
বিয়ে করলেন হিনা খান, ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইটাও চলছে
সবার আলাদা বাসা এবং আলাদা ফ্ল্যাট বাড়ি হওয়ার পর থেকে আর এই সুযোগটুকু রইলো না। সময়ের পরিবর্তনে মানুষজন অনেকে হারিয়ে গেলো, অনেকে বিদেশে চলে গেলো। এভাবে করে ভাঙতে ভাঙতে এখন যার যার ঈদ তার তার।
এখন হয়তো আগের চেয়ে অনেক বড় গরু কুরবানি দেওয়া হয় কিন্তু আগের ঈদের আনন্দটা এখন আর খুঁজে পাই না।
অনুলিখন: স্বরলিপি
ঢাকা/লিপি