ফাহামিদুলের অভিষেক, আর কারা আছেন বাংলাদেশ একাদশে
Published: 4th, June 2025 GMT
৫৫ মাস! প্রায় পাঁচ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর আবার প্রাণ ফিরল ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে। ফিরল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এই ফিরে আসা শুধু মাঠে নামা নয়। এ যেন ইতিহাসের পাতায় এক নতুন সূচনা।
আর নতুন সূচনায় আজ বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অভিষেক হচ্ছে ফাহামিদুল ইসলামের। ইতালি প্রবাসী এই ফুটবলারকে ভুটানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের একাদশে রেখেছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। একাদশে আছেন হামজা চৌধুরীও।
দীর্ঘ সংস্কারের পর নতুন সাজে সেজেছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। নতুন ঘাস, নতুন আসন, উজ্জ্বল ফ্লাডলাইটের আলোয় যেন জেগে উঠেছে এক স্বপ্নের মঞ্চ। নতুন দিনে, নতুন প্রত্যয়ের গল্প শুরু হলো আজ ভুটানের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ দিয়ে। সন্ধ্যা ৭টায় খেলা শুরু। আর এই মাঠেই ১০ জুন হবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের লড়াই।
মাঠের বাইরে কিছুটা হলেও লেগেছে উৎসবের ছোঁয়া। গেটের সামনে লাইন, চোখে মুখে উৎসুক আলো। অনেকেই এসেছেন ঢাকার বাইরে থেকে। কেউ কলেজ শেষ করেই ছুটে এসেছেন। নারায়ণগঞ্জের তরুণ সামিউল আবেগাপ্লুত গলায় বললেন, হামজার খেলা দেখতে এসেছি ভাই! ফাহামিদুলের দিকেও চোখ থাকবে। আশা করি আজ ২-৩ গোলে জিতব!
মিরপুরের শাখাওয়াত আলীর কণ্ঠে সেই পুরোনো দিনের উত্তেজনা, এই দিনটার জন্যই তো অপেক্ষা করছিলাম। মনে হচ্ছে, ফুটবল আবার বাঁচছে!
প্রেসবক্সে ফিরেছেন সাংবাদিকেরা। দীর্ঘদিন পর নিজের জায়গায় ফিরে যেন স্বস্তির নিশ্বাস। আগের ধূসর ও জরাজীর্ণ পরিবেশ এখন অতীত। আধুনিক চেয়ার, ঝকঝকে ডেস্ক, আলো-বাতাসে ভরপুর এক নতুন কর্মপরিবেশ। তবে লম্বা প্রেসবক্সের সামনে কয়েকটি স্তম্ভ থাকায় কিছু অংশে দৃষ্টির বাধা—একটু ঘাড় ঘোরাতে হয়। কিন্তু এই সামান্য অসুবিধা তুচ্ছ, কারণ পুরো স্টেডিয়ামটাই যেন এক স্বপ্নের রূপ নিয়েছে।
লাল-সবুজের পাশে ধূসর রঙের নতুন চেয়ার। এই প্রথম কোনো ফুটবল স্টেডিয়ামে গ্যালারির ওপর ছাদ। ঝলমলে এলইডি ফ্লাডলাইট, আধুনিক ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড, মাঠের পাশে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য ডিসপ্লে। তাজা ঘাসের মাঠ। সব মিলিয়ে যেন বাংলাদেশ ফুটবলের ঘরে ফেরার এক মহাকাব্যিক আয়োজন।
ম্যাচের আগেই স্লোগানে ফেটে পড়ল গ্যালারি। হামজা চৌধুরী যখন ওয়ার্মআপে মাঠে নামলেন, তখনই গর্জে উঠল দর্শক: ‘হামজা! হামজা! কেউ নিয়ে এসেছে প্ল্যাকার্ড: ‘আমরা বিশ্বাস করি তুমি জিতবে।’
ফুটবলের এই ফিরে আসা শুধু এক সন্ধ্যার ম্যাচ নয়, এ যেন এক নবজাগরণের ধ্বনি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু
বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঢাকা/মামুন/বকুল