৫০ বছর ধরে খাইট্টা বেচেন শরীয়তপুরের আজিজ
Published: 6th, June 2025 GMT
আবদুল আজিজ ঢালীর বয়স ৭০ বছর। ৫০ বছর ধরে করছেন কাঠ-গাছের ব্যবসা। সেই সঙ্গে কোরবানি ঈদের অন্তত ১৫ দিন আগে থেকে মাংস প্রস্তুত করার কাঠের খাইট্টা বিক্রি করেন। তাঁর এ ব্যবসায় সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতা।
আজিজের বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর এলাকায়। কোরবানি ঈদের দুই সপ্তাহ আগে থেকে বিভিন্ন হাটে তেঁতুলগাছের তৈরি খাইট্টা বিক্রি করেন। তাঁর খাইট্টা এলাকায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, আজিজ পাঁচ সন্তানের বাবা। স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান নিয়ে সংসার তাঁর। তরুণ বয়সে এলাকায় জ্বালানি কাঠ ও ফার্নিচার তৈরির কাঠের ব্যবসা শুরু করেন। গ্রাম থেকে গাছ কিনে শ্রমিক দিয়ে ফার্নিচারের কাঠ ও জ্বালানি কাঠ প্রস্তুত করে বিক্রি করতেন। সেই সঙ্গে শুরু করেন ঈদের মৌসুমে মাংস প্রস্তুত করার কাজে ব্যবহৃত খাইট্টা। ওই আয়েই সংসার চলেছে। সন্তানদের পড়ালেখা, বিয়ে দেওয়া—সবই করেছেন ওই আয় দিয়ে। আজিজের তিন ছেলে এখন কর্মজীবী। বয়সের কারণে আজিজ এখন আর কাঠের ব্যবসাটি করেন না। তবে ঈদে মাংস প্রস্তুতকাজে ব্যবহৃত খাইট্টা তৈরি ও বিক্রির কাজটি ছাড়েননি।
ঈদের অন্তত তিন মাস আগে গ্রাম থেকে বিভিন্ন আকৃতির তেঁতুলগাছ কেনেন। তা দিয়ে বিভিন্ন আকৃতির খাইট্টা তৈরি করে মজুত করেন। ঈদের দুই সপ্তাহ আগে শরীয়তপুর সদরের মনোহার বাজার হাট, আংগারিয়া হাট, বুড়িরহাট, গোসাইরহাটসহ বিভিন্ন হাটে ওই খাইট্টা নিয়ে যান বিক্রির জন্য। আজিজের তৈরি প্রতিটি খাইট্টা বিক্রি করা হয় ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা দামে। এ বছর তিনি ৭০০টি খাইট্টা তৈরি করেছেন।
খাইট্টা নিয়ে সদরের মনোহর বাজার গরুর হাটের পাশে বসেছিলেন আবদুল আজিজ। অনেক ক্রেতা তা কিনে নিচ্ছিলেন। তেমনই একজন শরীয়তপুর পৌরসভার পালং এলাকার রুহুল আমীন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ছোটবেলা থেকে বাবার সঙ্গে বিভিন্ন গরুর হাট ঘুরে মনোহর বাজার গরুর হাট থেকে কোরবানির গরু কিনতেন। সেই সঙ্গে আজিজ চাচার তৈরি তেঁতুল কাঠের খাইট্টা কিনে নিয়ে যান।
আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ব্যবসাটা ছাড়তে মন চায় না। তাই ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই বয়সেও খাইট্টা নিয়ে হাটে যান তিনি। প্রতি মৌসুমে তাঁর অন্তত দুই লাখ টাকা লাভ হয়। এই টাকা খরচ করে তিনি আনন্দ পান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র খ ইট ট প রস ত ত ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সন্ত্রাসীদের হামলায় মোস্তফা কামাল নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামে তার ওপর হামলা হয়। নিহত মোস্তফা কামাল একই গ্রামের মৃত মমিন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মোস্তফা কামাল রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছে সড়কে একা পেয়ে সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা করে। তারা তার মাথা ও ঘাড়ে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনই বলছে, ‘গাজায় গণহত্যা চলছে’
বান্দরবানে যুবককে পাথর দিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
একজন পথচারী মোস্তফা কামালকে সড়কের পাশে পরে থাকতে দেখে পরিবারের লোকদের খবর দেন। তারা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক মোস্তফা কামালকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, রাতে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের হামলায় এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ