জাতি আর কোনো ‘যেনতেন’ নির্বাচন চায় না: জামায়াত আমির
Published: 7th, June 2025 GMT
জাতি আর কোনো ‘যেনতেন’ নির্বাচন চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সুষ্ঠু বিচার, রাজনৈতিক সংস্কার, জুলাই ঘোষণাপত্রের বাস্তবায়ন এবং ভোটের সমতল মাঠ নিশ্চিত হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।
শনিবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের নিজ গ্রাম তুলাপুর পাঁচগাঁও ঈদগাহে ঈদের নামাজ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ শেষে গ্রামবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময়ও করেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, পরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণ প্রকৃতভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এবার নতুন প্রজন্মের ভোটার, বিশেষ করে যুব সমাজকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। দেশের চলমান সংকট নিরসনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা যদি কোনো সহযোগিতা চান, আমরা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবো।
ঈদের জামাতের পূর্বে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি হজরত ইব্রাহীম (আ.
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার পৌর আমির হাফেজ মাওলানা সাইদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, ভাটেরা ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুল করিম এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত আম র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের দিনেও ব্যস্ত তাঁরা
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে অনেকটাই ফাঁকা রাজধানী শহর ঢাকা। ঈদ উদ্যাপনের জন্য এই ছুটিতে নগরবাসীর একটি অংশ ঢাকা ছেড়ে গেছে। তবে এই ছুটিতেও অনেককেই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। ফলে ঈদের দিনেও ব্যস্ত তাঁরা।
রাজধানীর বিজয় সরণি মোড়। শহরের অন্যতম ব্যস্ত এ মোড়ে ঈদের দিনেও হাতের ইশারায় গাড়ি চলাচলে নির্দেশনা দিচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্য মেহেদি হাসান। বেলা দুইটার দিকে তপ্ত রোদে দাঁড়িয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈদ কিংবা পার্বণ হোক অথবা অন্য কোনো ছুটি হলেও আমাদের সড়ক থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। সবার নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে আমাদের প্রতিনিয়ত কাজ করতে হয়।’
ঈদে বা উৎসবে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে থাকার ইচ্ছে থাকলেও তা সম্ভব নয় উল্লেখ করে রাজধানীর তেজগাঁও জোনে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের এই সদস্য বলেন, ‘এখন তো চাইলেও দায়িত্বের জন্য অনেক কিছুই করা যায় না। কিছু করার নেই। আমাদের পেশাটাই এমন—দায়িত্ব পালন করে যেতে হয়।’
বিজয় সরণি মোড় পার হয়ে একটু সামনে আসতেই সড়কে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আমির হোসেন। জীবিকার তাগিদে বের হয়েছেন বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, ‘আজকে মালিক জমা (অটোরিকশার ভাড়া) ছাড়াই গাড়ি দিয়েছে। আর ঈদে যদি একটু বেশি ভাড়া পাওয়া যায়, তাহলে তো ভালোই হবে। সে জন্য গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি।’
ঈদের ছুটিতেও নিরলসভাবে রোগীদের সেবা দিতে হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক অনিরুদ্ধ মজুমদারকে। হাসপাতালেই কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কাছে সেবাটাই বড় বিষয়। এখানে উৎসব বা উদ্যাপনের বাইরের সময় বিচার করার সুযোগ নেই। আমাদের এটাকে দেখতে হয় দায়িত্ব হিসেবে।’
ছুটি মেলে না সব সংবাদকর্মীরও। সময়ের খবর নির্ভুলভাবে সবার কাছে তুলে ধরার দায়িত্বে থাকেন তাঁরা। তেমনই একজন শফিকুল আলম। দৈনিক বণিক বার্তা পত্রিকায় নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন এই তরুণ সাংবাদিক।
শফিকুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবার ঈদ একরকম নয়। সাংবাদিকতার মতো পেশায় যাঁরা, তাঁদের অনেকের ঈদের দিনটিও কাটে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে। সংবাদ সংগ্রহ, রিপোর্টিং, লাইভ আপডেট—সবকিছুই চলতে থাকে।’