চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গা সৈকতে গেলেই বদলে যাবে মনমেজাজ। বিকেলের নরম রোদ আর সৈকতের পাড় ধরে হেঁটে চলার অনুভূতি শহরের অন্য কোথাও মেলে না। সৈকতে হাঁটার প্রশস্ত রাস্তা, বসার জায়গা, ফুডকোর্ট—সবই আছে আধুনিক রূপে। এ কারণেই প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে হাজারো দর্শনার্থীর ভিড় জমে সৈকতে। এবারও পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে যেতে পারেন সৈকতে।

এই পুরোনো শহরের পথে পথে পাহাড়। পা বাড়ালেই সমুদ্র। ফলে একঘেয়েমি দূর করে যাঁরা সময়টা রাঙাতে চান, তাঁরা যেতে পারেন নগরের ফয়’স লেক, ডিসি পার্ক, ভাটিয়ারী হ্রদ, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, স্বাধীনতা পার্ক কিংবা পারকি সৈকতে। ছুটে যেতে পারেন গহিন পাহাড়েও। শহরের অদূরে কাপ্তাই হ্রদে গিয়ে কাটাতেন পারেন অনন্য মুহূর্ত।

পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

কোরবানির ৮৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে: ডিএনসিসি প্রশাসক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার কোরবানির বর্জ্যের প্রায় ৮৫ শতাংশ প্রথম দিনের মধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকা উত্তর নগর ভবনে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।

এ সময় প্রশাসক বলেন, “ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মতৎপরতা এবং জনগণের সহায়তায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকে রাস্তার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হবে।”

আরো পড়ুন:

দ্রুত বর্জ্য অপসারণে সেবা দেবে ডিএসসিসি: প্রশাসক

রসিকের অপসারিত জনপ্রতিনিধিদের পুনর্বহালে ৭ দিনের আল্টিমেটাম 

ডিএনসিসি প্রশাসক আরো বলেন, “আমরা অনুমান করছি, এ বছর কোরবানি উপলক্ষে মোট ২০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হতে পারে। সে হিসেবে আমাদের ১০ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও প্রয়োজনীয় ট্রাক, পিক-আপ, ভ্যানসহ অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোরবানির প্রথম দিনে প্রায় ৯ হাজার ২০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে, যার মধ্যে ৭ হাজার ৮০০ টন কোরবানির বর্জ্য ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়েছে। এছাড়া পুরো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।”

নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশাসক বলেন, “এ বছর ডিএনসিসি থেকে সরবরাহকৃত পলিব্যাগে কোরবানির বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে রাখায় সিটি করপোরেশনের কর্মীদের কাজ করতে সুবিধা হয়েছে। নগরবাসী এভাবে সহায়তা করলে পুরো কার্যক্রম খুব সহজে এবং দ্রুত সম্পন্ন হবে।”

মোহাম্মদ এজাজ ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সার্বিক কার্যক্রমের জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলমসহ ডিএনসিসির অন্যান্য কর্মকর্তারা।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ