‘আমরা তখন ছোট ছিলাম। খুব সাধারণ জীবন কাটাতাম। বর্ষার দিনে রিকশায় করে ডেটে যেতাম। কারণ, বড় কোনো জায়গায় যাওয়ার সামর্থ্য ছিল না। কিন্তু মনে আনন্দের কমতি ছিল না।’ বক্তার নাম মুজাম্মেল ইব্রাহিম। ভারতের এই কম পরিচিত মডেল-অভিনেতাকে আপনি না–ও চিনতে পারেন। তবে যদি জানেন, তিনি একসময় দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে প্রেম করতেন, তাহলে চমকে যেতে পারেন। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কান্নানের ইউটিউব চ্যানেলে নিজের পুরোনো প্রেম নিয়ে কথা বলেন তিনি।
দীপিকা পাড়ুকোন ২০০০ সালের শুরুতে মুম্বাইতে আসেন। সেখানে তিনি মডেলিং দিয়ে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেন। সেই সময়েই মুজাম্মেল ইব্রাহিমও কিছু মিউজিক ভিডিওতে কাজ করে মডেল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছিলেন। মুম্বাইতে একটি ফ্যাশন শোতে তাঁদের পরিচয় হয়। সেখান থেকে তাঁরা দুজনে ভালো বন্ধু হয়ে ওঠেন।

মুজাম্মেল জানান, তাঁদের সম্পর্ক তখন শুরু হয়, যখন দুজনেই নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। দুজনেই নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই সময়টা ছিল ভালোবাসা আর আন্তরিকতায় মোড়ানো।
মুজাম্মেল তাঁদের স্মরণীয় ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘তখন আমার ওর (দীপিকা) চেয়ে একটু বেশি টাকা ছিল। আমি তখন একটু ভালো উপার্জন করা শুরু করেছি। পরে আমি একটা গাড়ি কিনি। তখন দীপিকা খুব খুশি হয়েছিল। তার পর থেকে আর কখনো রিকশায় চড়িনি।’

মুজাম্মেল ইব্রাহিম। অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ