রূপগঞ্জে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও হাইয়েস মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

নিহতরা হলেন- অটোরিকশার চালক (৩৫) (নাম জানা যায়নি) এবং যাত্রী শাহরিয়ার হাসান আকাশ (২৯)। আহতরা হলেন নিহত শাহরিয়ার হাসান আকাশের বন্ধু সায়মন (২৯) ও তামিম সরকার (২৯)। সোমবার (৯ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার তারাবো এলাকার সুলতানবাগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহরিয়ার হাসান আকাশ উপজেলার তারাবো পৌরসভার সুলতানবাগ এলাকার প্রয়াত সাংবাদিক আবুল হাসান আসিফের ছেলে এবং ইসলামী ব্যাংকের স্থানীয় এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার কর্মকর্তা ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে তারাবো বিশ্বরোড এলাকা থেকে অটোরিকশাযোগে তারাবো সুলতানবাগ এলাকার বাড়িতে ফিরছিলেন শাহরিয়ার ও তার বন্ধু সায়মন ও তামিম সরকার। পথিমধ্যে সাইফিং ফ্যাক্টরির সামনে একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসের সঙ্গে অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে অটোরিকিশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। 

এ সময় ঘটনাস্থলেই নিহত হয় অটোরিকশার চালক অজ্ঞাত এবং আহত হয় অটোরিকশার যাত্রীরা। তাদের মধ্যে শাহরিয়ার ও তার বন্ধু তামিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শাহরিয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন।  

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আকাশকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। হাইয়েস চালক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন স ঘর ষ র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

‘যেন ভূমিকম্প হলো’ বিমান দুর্ঘটনার বর্ণনায় প্রত্যক্ষদর্শী

ভারতের আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, যখন বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল তখন তার মনে হয়েছিল, ‘যেন ভূমিকম্প হলো’। খবর বিবিসি বাংলার

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ১৭ মিনিটে ভারতের আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ঘরেই বসে ছিলাম, হঠাৎ প্রচন্ড একটা শব্দ হলো। মনে হলো যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। আমি তখনও জানতাম না বিমান ভেঙে পড়েছে। পরে এখানে এসে জানতে পারি।’ 

‘এখানে এসে দেখি, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে আর ওখানে অনেকগুলো মৃতদেহ পড়ে আছে, বলেছেন ওই প্রত্যক্ষদর্শী।

বিজেপি বিধায়ক দর্শনা বাঘেলা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, তিনি ঘটনাস্থলের কাছেই নিজের দপ্তরে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আমার অফিসে বসেছিলাম। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে গিয়ে দেখি, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রচুর ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ডাক্তারের হোস্টেলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় শ্রমিকদের সহায়তায় আমরা অনেককে উদ্ধার করতে পেরেছি।

এদিকে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল। তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দার। তবে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি।

পুলিশের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, বিধ্বস্ত বিমানে থাকা ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ