‘এটা কেবল শুরু’, সিঙ্গাপুর ম্যাচের পর হামজার বার্তা
Published: 11th, June 2025 GMT
জাতীয় দলের জার্সিতে নিজের দায়িত্বটা ঠিকঠাকই পালন করেছেন হামজা চৌধুরী। প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকানোর পাশাপাশি নিজেও গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন। তবে ফুটবল দলীয় খেলা, একজন ভালো করলেও দল না জিতলে সফলতা পূর্ণতা পায় না। জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হামজাদের জয় দেখতে এসেছিলেন হাজারো সমর্থক। কিন্তু ২–১ গোলের হার দেখে ছাড়তে হয় গ্যালারি। সেই হতাশ হওয়া সমর্থকদের আশার বার্তা দিলেন হামজা।
হামজার জাতীয় দলে আগমন নতুন করে আশা জাগায় ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে। লক্ষ্য ছিল এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ার। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে ড্রয়ের পর সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারে সেই পথ হয়ে পড়েছে কঠিন। তবু লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানালেন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এই মিডফিল্ডার।
সামাজিক মাধ্যমে ম্যাচের পর হামজা লেখেন, 'আমরা যেমনটা চেয়েছিলাম, তা হয়নি! কিন্তু দল ও জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত হতে পারি!! আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে, কারণ এটা তো মাত্র শুরু। ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই আমরা সেই জায়গায় পৌঁছাব, যেখানে পৌঁছাতে চাই! ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ। দেখা হবে অক্টোবরে।'
বর্তমানে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ। শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর, দ্বিতীয় হংকং এবং চতুর্থ স্থানে ভারত। সামনে রয়েছে আরও চ্যালেঞ্জ। আগামী অক্টোবরের আন্তর্জাতিক উইন্ডোতে হংকংয়ের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ, ঘরের মাঠে ও প্রতিপক্ষের মাঠে ৫ দিনের ব্যবধানে। সেই দুই ম্যাচই নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে খেলার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে পারবে কি না। আর সেই চ্যালেঞ্জেই দলকে উজ্জীবিত করতে প্রস্তুত হামজা চৌধুরী।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী