ভালোবাসা, বিচ্ছেদ আর আবার ফিরে আসা: আর্জেন্টাইন তারকাকে দ্বিতীয় সুযোগ দিলেন তাঁর বান্ধবী
Published: 11th, June 2025 GMT
ভালোবাসার গল্পগুলো হয়তো এমনই হয়।
কখনো হাসি, কখনো কান্না, আবার কখনো একটা বিরতি। চেলসির আর্জেন্টাইন তারকা এনজো ফার্নান্দেজ আর তাঁর বান্ধবী ভালেন্তিনা সেরভান্তেসের গল্পটাও ঠিক তেমন—ভালোবাসা, ভুল–বোঝাবুঝি, বিচ্ছেদ এবং শেষে আবার মিলিত হওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত।
গত বছরের অক্টোবরের কথা। হঠাৎ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনজো জানিয়ে দিলেন, ভালেন্তিনার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতে চান না। সিদ্ধান্তটা যেন আকাশ থেকে পড়ার মতো ধাক্কা ছিল ভালেন্তিনার জন্য। ছোটবেলার প্রেম, একসঙ্গে গড়ে তোলা জীবন, দুটি সন্তান—সবকিছু একমুহূর্তে এলোমেলো হয়ে গেল তাঁর।
ভালেন্তিনা তখন ইংল্যান্ড থেকে আর্জেন্টিনায় ফিরে গিয়েছিলেন তাঁদের দুই সন্তানকে নিয়ে। কিন্তু মন তো আর দূরত্ব মানে না। এনজোকে মিস করতেন তখনো। তাই তো মাঝে একবার ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘আমি এখনো তাকে ভালোবাসি, ওর জন্য শুভকামনাই জানাই।’
সেই ভালোবাসা বোধ হয় দুই দিক থেকেই ছিল। মিস বোধ হয় এনজোও করতে শুরু করেছিলেন। নিজের মতো জীবন কাটাবেন বলে ভালেন্তিনাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরও মন মানছিল না। বছরের শুরুতে আবার দেখা গেল তাঁদের একসঙ্গে—লন্ডনের রাস্তায় হাত ধরা, হাসিমুখে.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
তাণ্ডব থেকে উৎসব, ঈদের রঙে অনবদ্য এক জয়া
এই ঈদে রূপালি পর্দা যেন একটু বেশিই আলোকিত। কারণ, একসঙ্গে দুটি সিনেমা নিয়ে হাজির হয়েছেন গুণী অভিনেত্রী জয়া আহসান। একটি রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’, অন্যটি তানিম নূরের ‘উৎসব’। ঈদের সকাল থেকে শুরু করে আজও, দর্শকের হাত ধরে সিনেমা হলে ছুটে চলেছেন জয়া। ছবির সঙ্গে দর্শকের হৃদয়ের সংযোগটা যেন নিজ চোখেই প্রত্যক্ষ করতে চান তিনি।
‘তাণ্ডব’-এর প্রচারে গিয়ে জয়া বললেন, “ঈদে যখন কোনো সিনেমা মুক্তি পায়, তখন ঈদের আবহটাই যেন সেই সিনেমাকে ঘিরে তৈরি হয়। ঈদের সকাল থেকেই সবাই খবর নেয়,সিনেমাটি কেমন চলছে। জানলাম, ‘তাণ্ডব’ দেখতে সকাল থেকেই হলে দর্শকের ভিড় লেগে আছে। সিনেমাটি নিয়ে মানুষ রীতিমতো উন্মাদ হয়ে উঠেছে। এটাই তো আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
শাকিব খানের সঙ্গে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর স্ক্রিন শেয়ার করেছেন জয়া। অ্যাকশন ঘরানার ‘তাণ্ডব’-এ তিনি অভিনয় করেছেন এক সাংবাদিকের চরিত্রে। ছবিতে আরও রয়েছেন আফজাল হোসেন, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, এজাজুল ইসলাম, সুমন আনোয়ার ও মুকিত জাকারিয়ার মতো দক্ষ অভিনয়শিল্পীরা।
দর্শকের সঙ্গে একত্রে বসে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে জয়া বলেন, “আমি নিজেই দর্শকের সঙ্গে সিনেমাটি উপভোগ করেছি। একজন দর্শক হিসেবে বলতে পারি, পুরো টাকাটা উসুল! সিনেমা হলে যখন চারদিক থেকে শিস ও হাততালির শব্দ উঠছিল, তখনই বুঝে গেছি, ‘তাণ্ডব’ মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “‘তাণ্ডব’-এর মূল শক্তি তার গল্প। আমাদের টিম ছিল অসাধারণ। পর্দার সামনেও যেমন, তেমনি পেছনেও সবাই একদম হৃদয় দিয়ে কাজ করেছে। আমরা নিজেরাও ভীষণ আনন্দ নিয়ে ছবিটি করেছি। এরইমধ্যে দর্শকদের যে সাড়া পাচ্ছি, তাতে মন ভরে গেছে।”
অন্যদিকে, ‘উৎসব’ সিনেমার প্রচারেও পিছিয়ে নেই জয়া আহসান। গতকাল তিনি নিজে গিয়েছিলেন একটি প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের সঙ্গে সিনেমা দেখতে। বিনিময় করেছেন কুশল, শুনেছেন মতামত।
জয়া বলেন, “‘উৎসব’ দেখার পর দর্শকেরা নিজেরাই বলছেন-এই সিনেমাটি অনেক দিন মানুষের মনে থাকবে। ছবিটিতে যে শিল্পীরা কাজ করেছেন, তাদের সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া ছিল সবচেয়ে কঠিন কাজ। আমি নিজে দেশের বাইরে ও দেশের ভেতরে ছুটে চলা একজন শিল্পী; চঞ্চল ব্যস্ত একজন মানুষ, আর অপি তো যেকোনো কাজ করেন না-যতক্ষণ না সেটা তার পছন্দ হয়। এতগুলো ভিন্নধর্মী শিল্পীকে এক ফ্রেমে আনা গেছে কেবল পরিচালকের মুন্সিয়ানায়। আমার বিশ্বাস, সিনেমাটির যাত্রা হবে দীর্ঘ।”
একটু হেসে তিনি বলেন, “আমি নিজেই সিনেমা দেখতে গিয়ে টিকিট পাইনি। সেটা মনে হলে লজ্জাও লাগে। আশা করি, নির্মাতারা দর্শকদের জন্য টিকিট পাওয়ার সুযোগ আরও সহজ করে তুলবেন।”
ঈদের দুই ভিন্নস্বাদের ছবি ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’ দুটোতেই জয়াকে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে, ভিন্ন ভিন্ন আবহে। অথচ, প্রতিটি চরিত্রেই যেন তার এক নিজস্ব ছাপ, এক অনবদ্য সত্তা।
এ ঈদে, সিনেমা হলে ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে-‘তাণ্ডব’ চলছে, ‘উৎসব’ জমছে। আর তার কেন্দ্রে আছেন জয়া আহসান। অভিনয়ের তাণ্ডব আর শিল্পের উৎসবে যিনি একসঙ্গে মাতাচ্ছেন বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের।