২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন বলিউড অভিনেতা, নির্মাতা-প্রযোজক আরবাজ খান। ৪২ বছর বয়সি হেয়ারস্টাইলিস্ট শুরা খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এই অভিনেতা।

আরবাজ খান ও শুরা খানের বয়সের ব্যবধান ১৫ বছর। তা ছাড়া তাদের শারীরিক উচ্চতার ব্যবধানও বেশ। বিয়ের পরই বয়স ও উচ্চতার ব্যবধান নিয়ে কটাক্ষের শিকার হন এই দম্পতি। কিন্তু এসব বিষয়কে পাত্তা না দিয়ে দাম্পত্য জীবন চুটিয়ে উপভোগ করছেন তারা।

গত বছর গুঞ্জন চাউর হয়, বাবা-মা হতে যাচ্ছেন আরবাজ-শুরা। পুরনো সেই গুঞ্জন চল‌তি বছ‌রে ক‌য়েকবার জোরালোভা‌বে চাউর হয়। ত‌বে নীরব ছি‌লেন এই দম্প‌তি। অব‌শে‌ষে আরবাজ জানা‌লেন, ৫৭ বছর বয়সে বাবা হতে যা‌চ্ছেন তি‌নি।

আরো পড়ুন:

রাজকে নিয়ে যা জানালেন শুভশ্রী

প্রতারণার শিকার গরু বিক্রেতাকে ওমরাহ করাবেন অপু বিশ্বাস

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে আরবাজ খান ব‌লেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি বাবা হ‌তে যাচ্ছি। আমার পরিবারের প্রত্যেকে খুশি। সবাইকে সুখবর দেব। আমাদের জীবনে এটা অত্যন্ত খুশির একটা মুহূর্ত। আমরা একসঙ্গে এই বিশেষ মুহূর্তটা উদযাপন করছি। নতুন সদস্যকে আমাদের জীবনে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় আছি।’’

কয়েকদিনের মধ্যেই দ্বিতীয় সন্তা‌নের বাবা হতে যাওয়ার তথ‌্য উল্লেখ ক‌রে আরবাজ খান ব‌লেন, ‘‘আমাদের সন্তানকে সবসময় যত্নে রাখব।  ভালোবাসা, আদর সবটুকু দিতে চাই। সন্তানকে ভালোভাবে মানুষ করতে যা প্রয়োজন সবটুকু দেয়ার চেষ্টা করব।’’

‘পাটনা শুক্লা’ সিনেমার শুটিং সেটে হেয়ারস্টাইলিস্ট শুরা খানের সঙ্গে পরিচয় হয় আরবাজ খানের। ৯ মাস প্রেম করার পর বিয়ে করেন এ জুটি।

১৯৯৮ সালে অভিনেত্রী মালাইকা আরোরার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আরবাজ খান। ২০০২ সালে তাদের সংসার আলো করে জন্ম নেয় পুত্র আরহান। ২০১৬ সালে দীর্ঘ ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এই দম্পতি। ২০১৭ সালের মে মাসে তাদের বিচ্ছেদ মঞ্জুর করেন মুম্বাইয়ের বান্দ্রার পারিবারিক আদালত। আরবাজের মতো শুরারও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ত‌বে প্রথমবার মা হ‌তে যা‌চ্ছেন শুরা। 
 

ঢাকা/শান্ত/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আরব জ খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আইআরজিসির বিমানবাহিনীর প্রধান নিহত

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ইরানে আগের রাতে চালানো বিমান হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের বিমানবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ নিহত হয়েছেন।

আইডিএফ দাবি করেছে, ইসরায়েলে হামলার প্রস্তুতি নিতে হাজিজাদেহ ও তাঁর শীর্ষ সহকর্মীরা একটি ভূগর্ভস্থ কমান্ড সেন্টারে বৈঠক করছিলেন। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে চালানো হামলায় পুরো সেন্টারটি ধ্বংস হয়ে যায়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের ড্রোন ইউনিট ও আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটের শীর্ষ কমান্ডাররা রয়েছেন।

আইডিএফের দাবি, ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মূল নেতৃত্বে ছিল আইআরজিসির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী। তারা গত বছরের এপ্রিল ও অক্টোবরে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছিল।

আরও পড়ুনকয়েক দশকের ছায়া যুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইসরায়েল ও ইরান৩ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েলের দাবি, ২০১৯ সালে সৌদি আরবে জ্বালানি স্থাপনায় আলোচিত ড্রোন হামলার নেতৃত্ব দেন আইআরজিসির এই কর্মকর্তারা।

তেহরান টাইমসের এক প্রতিবেদনে আমির আলী নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, এই হামলাকে ‘নৃশংস ও সন্ত্রাসী তৎপরতা’ বলে আখ্যায়িত করেছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড। ১৬ বছর ধরে আইআরজিসির বিমানবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন হাজিজাদেহ। ইরানের সামরিক কৌশলের অন্যতম প্রধান পরিকল্পকারী ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সক্ষমতা অভূতপূর্ব মাত্রায় পৌঁছায়।

আইআরজিসির বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রতিশোধের অঙ্গীকার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই অপরাধ আমাদের জাতিকে দুর্বল করবে না, বরং প্রতিশোধের সংকল্প আরও দৃঢ় করে তুলবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ