ঢাকায় অসুস্থ বোনকে দেখে মোটরসাইকেলে ফেরার পথে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দুর্ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম আবদুর রহিম (৩৭)। তাঁর গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায়। তবে তিনি চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি নগরের ইপিজেড এলাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় ‘মেইনটেন্যান্স সুপারভাইজার’ হিসেবে কাজ করতেন।

আবদুর রহিমের চাচাতো ভাই মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকায় বসবাসরত নাসিমা বেগম নামে তাঁদের এক বোন কিডনি রোগে আক্রান্ত। খবরটি শুনে তিনি ঈদের ছুটিতে বোনকে দেখতে মোটরসাইকেলে করে ঢাকায় যান। এরপর গতকাল বুধবার রাতে তিনি সেখান থেকে নিজের মোটরসাইকেল চালিয়ে চট্টগ্রামে ফিরছিলেন।

দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোমিন জানান, কোনো গাড়ির ধাক্কায় আবদুর রহিমের মৃত্যু হয়েছে। লাশটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী

নোয়াখালীর হাতিয়ায় হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপির পাঁচ কর্মী। তাদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তমরদ্দি বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ জন্য একই দলের অন্য নেতার অনুসারীদের দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা। 

আহত ব্যক্তিরা হলেন– সোহেল উদ্দিন (৩০), রুবেল (২৫), মো. রনি (২৬), এরশাদ (৩৫) ও পায়েল (২৫)। তাদের বাড়ি তমরদ্দি ইউনিয়নের আঠারোবেকী গ্রামে। আহত সবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের কর্মী-সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তমরদ্দি বাজারের একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পাঁচজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিহাব উদ্দিনের ভাষ্য, সবার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কিছু আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ জন্য চারজনকে রাতেই হাতিয়ার বাইরে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। 

ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের ভাষ্য, মঙ্গলবার ইউনিয়ন বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আসার পথে হামলায় তাঁর কয়েকজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় দুটি মামলা হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। ওই আসামিরাই বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের লোক।

তবে আলমগীর কবিরের দাবি, হামলায় তাঁর কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন না। এমন অভিযোগ সত্য নয়। 

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, বিএনপি নেতা তানভীর হায়দার ও আলমগীর কবিরের লোকজনের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের বিরোধ অনেক পুরোনো। আগের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ