পুঠিয়ায় দুই বাড়িতে হামলা-আগুনের ঘটনায় দুই বিএনপির কর্মী গ্রেপ্তার
Published: 12th, June 2025 GMT
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার হাতিনাদা গ্রামের দুই বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন পুঠিয়ার ভাড়রা গ্রামের মো. সুজন (৩২) ও হাতিনাদা গ্রামের শাহিন আক্তার ওরফে খোকন (৪১)। তাঁরা বিএনপির কর্মী। তাঁদের পুঠিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার দুপুরে হাতিনাদা গ্রামে সেনাসদস্য তরিকুল ইসলাম ও মো.
এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন আবদুল হান্নান। ঘটনার পর গতকাল উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম এবং বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে রাজশাহী জেলা বিএনপি।
পুঠিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দুলাল হোসেন জানান, গ্রেপ্তার শাহীন ও সুজনকে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে থানায় হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুজনকে বেলা ১১টার দিকে আদালতের উদ্দেশে পাঠানো হয়। মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলামসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ল ইসল ম ব এনপ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু
বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঢাকা/মামুন/বকুল