ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ইরান বলেছে, এই হামলা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ন্যায্যতা দিয়েছে। এক বিবৃতিতে ইরান সরকার জানিয়েছে, শুক্রবার ইসরায়েল ছয়জন পরমাণুবিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে। এই হামলা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ এবং ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে আরও জোরালো করেছে। এমন শিকারি রাষ্ট্রের সঙ্গে ক্ষমতার ভাষা ছাড়া কথা বলা উচিত নয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ, পারমাণবিক প্রযুক্তি এবং ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা অর্জনের ওপর জোর দেওয়ার বিষয়টি এখন বিশ্ব আরও ভালোভাবে বুঝতে পারছে।’ 

ইরান স্পষ্ট করে বলছে, ইসরায়েলি হামলা তাদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিকাশের ন্যায্যতা তৈরি করেছে বলে তারা মনে করে।

ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেছেন, এই হামলা ইসরায়েলের ‘বর্বর স্বভাবের প্রমাণ’। ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল নিজেই নিজের জন্য একটি করুণ পরিণতির পথ তৈরি করেছে, যার ফলাফল তারা নিশ্চিতভাবেই ভোগ করবে।’ খবর-বিবিসি

এদিকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানাতে আহ্বান জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই হামলা ‘বিশ্ব নিরাপত্তাকে অভূতপূর্ব হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে’। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যাকে তারা ইসরায়েলের প্রধান সমর্থক বলে অভিহিত করে এই হামলার পরিণতির জন্য দায়ী থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগে বলেছিল যে, তারা এই হামলায় জড়িত ছিল না।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মুখপাত্র আবুলফজল শেখারচি বলেন, ‘এ হামলার জবাব অবশ্যই ইরানি সশস্ত্র বাহিনী দেবে। ইসরায়েলকে তার হামলার চড়া মূল্য দিতে হবে এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কঠোর জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

এদিকে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, ‘ইসরায়েলের হামলার জবাব হবে কঠোর ও ফলাফল নির্ণায়ক।’

অন্যদিকে ইরানে হামলার পরপরই নিজ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইসরায়েলি সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘খুব শিগগিরিই ইসরায়েলের ওপর পাল্টা হামলা’ চালাতে পারে ইরান। ইরানের ওপর যখন হামলা চালানো হয় ইসরায়েলের মানুষ তখন ঘুমাচ্ছিলেন। জেরুজালেমে অবস্থানরত একজন বিবিসি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সাইরেনের বিকট শব্দে এবং মোবাইলে জরুরি সতর্কবার্তা পেয়ে তারা জেগে ওঠেন।

ইরানের স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এর কিছু সময় পর, তেহরানে তখন ভোর ৫টা ৩০ মিনিট এবং ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান শহর তেল আবিবে ভোর ৫টা, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ইরানে ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যতদিন প্রয়োজন, ততদিন এ হামলা অব্যাহত থাকবে। এই হামলা ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে।’ শুক্রবার হামলার পর এক ভিডিও বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। 

নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য’ ইরানি হুমকি প্রতিহত করতে সামরিক অভিযান ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ শুরু করেছে ইসরায়েল। রাজধানী তেহরান থেকে ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর নাতানজ্-এ হামলা চালানোর কথা জানান নেতানিয়াহু। এ জায়গাটিকে সমৃদ্ধকরণের মূল এলাকা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসরায়েল ‘বোমা তৈরিতে কাজ করা’ ইরানি বিজ্ঞানীদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। এই হামলা ‘যত দিন সময় লাগে তত দিন চলবে।’

শুক্রবার ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তেহরানসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। 

এ হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিও নিহত হয়েছেন। তেহরানে আইআরজিসি সদর দপ্তরেও হামলা হয়েছে বলে জানায় ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। হামলার সময় আইআরজিসি-এর সদর দপ্তরে ছিলেন হোসেইন সালামি। 

এছাড়া ইরানের দুই পরমাণুবিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন, ফেরেদুন আব্বাসি ও মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নিহত দুই বিজ্ঞানীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেরেদুন আব্বাসি ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার (এইওআই) সাবেক প্রধান। ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর দেখাশোনা করে থাকে এইওআই। ২০১০ সালে তেহরানের একটি সড়কে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তখন প্রাণে বেঁচে যান তিনি। নিহত অপর বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। 

হোসেইন সালামি ২০১৯ সাল থেকে বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ইরানের পরমাণু ও সামরিক কৌশল নির্ধারণে তিনি ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার নেতৃত্বেই ইরান আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে একাধিক সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে এসেছে, বিশেষত ইরাক, সিরিয়া ও লেবাননে। 

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস মূলত একটি সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি যা দেশটির ইসলামি শাসন ব্যবস্থার প্রতি ভেতর ও বাইরে থেকে আসা যে কোনো হুমকিকে প্রতিরোধে কাজ করে।

বিবিসি বলছে, আইআরজিসি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর একটি শক্তিশালী শাখা, যার রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব দেশটির ভেতরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গার্ডস বাহিনী বিশেষত ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল পরম ণ সশস ত র ব হ ন ইসর য় ল র আইআরজ স র ইসল ম র জন য মন ত র দ শট র ইসর য পরম ণ

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের কত পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে, কোথায় সেগুলোর অবস্থান

ইরানের রাজধানী তেহরানের বিভিন্ন শহরে আজ শুক্রবার ভোররাতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পারমাণবিক কর্মসূচির মূল কেন্দ্র লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ হামলার আগে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বিভিন্ন সময় ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি দ্রুত সম্প্রসারণ করছে—ক্রমবর্ধমান এই আশঙ্কার কারণেই মূলত এসব বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

২০১৫ সালে ছয় প্রভাবশালী দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি হয়। ওই চুক্তিতে ইরানকে পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত রাখার শর্ত দেওয়া হয়। বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর থেকে ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করেছে।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার ‍(আইএইএ) সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ইরানে মোট সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত ছিল প্রায় ৯ হাজার ২৪৭ দশমিক ৬ কেজি বা ২০১৫ সালের চুক্তিতে নির্ধারিত সীমার চেয়ে ৪৫ গুণ বেশি।

মোট মজুতকৃত ইউরেনিয়ামের মধ্যে ৪০৮ দশমিক ৬ কেজি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করেছে ইরান, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে প্রযোজ্য সমৃদ্ধকরণের চেয়ে সামান্য কম। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করতে হয়।

২০২১ সালের এপ্রিল মাসে নাতাঞ্জ পারমাণবিক কর্মসূচি কেন্দ্রে একটি হামলা হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান।

ভিয়েনাভিত্তিক সংস্থা আইএইএ-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী, তাত্ত্বিকভাবে ইরানের কাছে বর্তমানে যে পরিমাণ অস্ত্র তৈরির উপযোগী ইউরেনিয়াম রয়েছে, আরও কিছু পরিশোধন করলে তা দিয়ে দেশটি প্রায় ১০টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পারবে।

তবে ইরান বরাবরই এ কথা অস্বীকার করে আসছে। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো অভিপ্রায় নেই বলে জানিয়েছে দেশটি।

নিচে ইরানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনার তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক দল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে:

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র

০১. নাতাঞ্জ

তেহরান থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত নাতাঞ্জ ইরানের মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। এটি গভীরভাবে সুরক্ষিত (বাংকারযুক্ত) একটি স্থাপনা। কেন্দ্রটির অস্তিত্ব প্রথম সামনে আসে ২০০২ সালে।

নাতাঞ্জের দুটি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে প্রায় ৭০টি সেন্ট্রিফিউজের সারি আছে। এর মধ্যে একটি কেন্দ্রের কার্যক্রম ভূগর্ভে পরিচালিত হয়। সেন্ট্রিফিউজ হলো এমন যন্ত্র, যা ব্যবহার করে ধাপে ধাপে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হয়।

২০২১ সালের এপ্রিলে নাতাঞ্জ পারমাণবিক কর্মসূচি কেন্দ্রে একটি হামলা হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান।

আজ শুক্রবার ভোররাতে এই কেন্দ্রে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। কেন্দ্রটির পাশাপাশি সেখানে অবস্থানরত পরমাণুবিজ্ঞানীদেরও নিশানা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

আইএইএ–এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি নিশ্চিত করেছেন, যেসব স্থান লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে, তার মধ্যে একটি নাতাঞ্জ।

মধ্য ইরানের পবিত্র শহর কোমের কাছে একটি পাহাড়ের নিচে গোপনে নির্মিত পারমাণবিক কর্মসূচি কেন্দ্র ফোর্ডো ২০০৯ সালে প্রথম প্রকাশ্যে আসে। এটি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে তৈরি করা হয়।

ফোর্ডো

মধ্য ইরানের পবিত্র শহর কোমের কাছে একটি পাহাড়ের নিচে গোপনে নির্মিত পারমাণবিক কর্মসূচি কেন্দ্র ফোর্ডো ২০০৯ সালে প্রথম প্রকাশ্যে আসে। এটি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে তৈরি করা হয়।

প্রাথমিকভাবে এটিকে ‘জরুরি’ স্থাপনা হিসেবে বর্ণনা করা হলেও পরে ইরান জানায়, এটি একটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। সম্ভাব্য বিমান হামলা থেকে রক্ষার জন্য মাটির নিচে এটি নির্মাণ করা হয়। এই কেন্দ্রে প্রায় তিন হাজার সেন্ট্রিফিউজ বসানো সম্ভব।

২০২৩ সালে এই কেন্দ্রে ৮৩ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের কণা পাওয়া যায়। ইরানের দাবি, পরিশোধন প্রক্রিয়ায় অনিচ্ছাকৃত তারতম্যের কারণে এমনটি হয়েছে।

আরও পড়ুনইরানে ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তু কী, কারা জড়িত, নিহত কারা ৮ ঘণ্টা আগেইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েলের হামলা, ইরানের জবাব
  • ইরানের কত পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে, কোথায় সেগুলোর অবস্থান
  • নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বাড়েনি: আইএইএ
  • ইরানের ৮ শহরে কয়েক শ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
  • ইরানে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে কী জানা গেল
  • ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলো ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু: নেতানিয়াহু  
  • ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির মূলকেন্দ্রে আঘাত হেনেছে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
  • ইরান উত্তেজনার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন কর্মী সরানোর নির্দেশ ট্রাম্পের
  • নিরাপত্তাঝুঁকিতে ইরাকের দূতাবাস থেকে কর্মীদের আংশিকভাবে সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র