যৌতুক না পেয়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, আটক শ্বশুর
Published: 14th, June 2025 GMT
সাভারে যৌতুকের টাকা না পেয়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত শ্বশুরকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
আজ শনিবার দুপুরে সাভারের তেঁতুলঝোড়া এলাকার সোলেমান মিয়ার দোতালা বাড়ির একটি কক্ষ থেকে নিহত গৃহবধূ লতা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে সেলিম মিয়ার সঙ্গে লতার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা সোলেমান মিয়ার দোতলা বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। একই বাড়ির নিচ তলার আরেকটি কক্ষে সেলিমের মা বাবা ভাড়া থাকেন। পাশেই নিহত লতার বাবা-মাও বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
এ দিকে বিয়ের পর থেকে মাঝে মধ্যেই স্বামী সেলিম ও শ্বশুর মাসুদ মিয়া যৌতুকের জন্য লতাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বশুর মাসুদ মিয়া পুত্রবধূ লতাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের বাবা-মা।
শনিবার দুপুরে প্রতিবেশীরা জানালা দিয়ে ঘরে লতার ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখে তার বাবা ও মা-কে খবর দেন। তারা এসে বিবস্ত্র অবস্থায় মেয়ের লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা সাভার মডেল থানা-পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
নিহত লতার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, ‘মাসুদ মেয়েকে ধর্ষণের পরে হত্যা করেছেন। মেয়ে লতার স্বামী সেলিম পলাতক। আমি সেলিম ও মাসুদের বিচার চাই।’
সাভার মডেল থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম সবুজ বলেন, নিহত গৃহবধূর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা সেটা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে। ধারনা করা হচ্ছে, শুক্রবার মধ্য রাতের যে কোনো সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুরকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার দিন সেলিম ও তার মা বাসায় ছিলেন না। তারা ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়েছেন বলে জানা গেছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু
বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঢাকা/মামুন/বকুল