দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মুলতবি অধিবেশন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ৩০ টি দল অংশগ্রহণ করেন এতে। যার মধ্যে দুটো হলো জোট।

আজকের বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি এবং নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

গত মঙ্গলবার থেকে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মুলতবি অধিবেশন শুরু হয়। ওইদিন সংবিধান ৭০ অনুচ্ছেদ এবং সংসদীয় কমিটির সভাপতি পদে মনোনয়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়। বুধবারের আলোচনায় জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হলেও কোন ঐকমত্য হয়নি দলগুলোর মধ্যে। যার মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আজকের আলোচনা শুরু হয়। এনসিসি নিয়ে আগামী সপ্তাহে আলোচনা হবে বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে থেকে জানানো হয়।

সভার সঞ্চালনা করছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড.

বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান,  মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া উপস্থিত আছেন।

এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল, জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি উপস্থিত আছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কার বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সরকার, কোনো অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না: সিপিবি

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ‘ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, সংস্কার নিয়ে যত কথাই বলি না কেন, সংস্কার বিষয়ে হওয়া ঐকমত্য বাস্তবায়ন করতে হবে আগামীতে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। কোনো অজুহাতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিলম্ব করা যাবে না।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষ থেকে এ কথা বলেন রুহিন হোসেন। এ সময় বাম জোটের অন্য শরিক দলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

রুহিন হোসেন বলেন, অন্য কোনো নির্বাচনের কথা এনে চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের অন্যতম যে আকাঙ্ক্ষা, গণতন্ত্রের পথে হাঁটা, সেটাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। গণহত্যার বিচার ও সংস্কার করেই এ বছরে নির্বাচন করা সম্ভব। তাঁরা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চান।

বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত উল্লেখ করে রুহিন হোসেন বলেন, ‘সংসদকে প্রতিনিধিত্বমূলক করতে হলে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালু করতে হবে। স্বাধীনতার পর থেকে আমরা এ বিষয়ে কথা বলে আসছি। সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন নিশ্চিত করতে হবে।’

নির্বাচনকে ভয়, অর্থমুক্ত এবং আঞ্চলিক খেলা থেকে মুক্ত করার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এখনো কোনো আলোচনা তৈরি করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সমালোচনা করে রুহিন হোসেন বলেন, ‘এই অনুচ্ছেদের অধীন এমন কতগুলো বিষয় আছে, যার মাধ্যমে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। আমরা বরাবরই এ অনুচ্ছেদের বিষয়ে নতুন করে ভাবার কথা বলে আসছি। আজকের আলোচনায় ৭০ অনুচ্ছেদের অধীন আস্থাভোট এবং অর্থবিল যুক্ত করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। সংসদ সদস্যরা অন্যান্য বিষয়ে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন। এ উদ্যোগের সঙ্গে আমরাও একমত।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে রুহিন হোসেন বলেন, কমিশন সংসদে নারীদের আসন বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এটা নিয়ে স্বাধীনতার পর থেকে বাম দলগুলো আন্দোলন করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বর্ধিত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের পক্ষে জামায়াত
  • রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের মুলতবি আলোচনা শুরু
  • এনসিসি গঠন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজ পদ্ধতিতে সম্মত এবি পার্টি
  • দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় পারষ্পরিক অবস্থান সম্পর্কে জানার সুযোগ হ
  • জামায়াত‌কে বে‌শি কথা বল‌তে দেওয়ায় গণ‌ফোরাম-সি‌পি‌বির সংলাপ থে‌কে ওয়াক আউট
  • ঐকমত্যের সংলাপে আবারো অংশ নিল জামায়াত
  • জামায়াতে ইসলামী আজ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অংশ নিল
  • শুভস্য শীঘ্রম
  • সংস্কার বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সরকার, কোনো অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না: সিপিবি