সরাসরি: নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিলেন গ্রোসি
Published: 20th, June 2025 GMT
আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থা-আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তুলে ধরেছেন।
শুক্রবার (২০ জুন) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এই বৈঠক হয়। অবশ্য রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই; যদি ইসরায়েল সেখানে হামলা চালিয়েছে।
ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা পাহাড়ের নিচে ২০০ ফুটেরও বেশি গভীরতায়, যেখানে সাধারণ বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা কম। তবে ইরানের অন্যান্য পারমাণবিক ক্ষেত্রে হামলায় বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছে ইরান।
আরো পড়ুন:
ইরানের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশে ইরাকে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত
বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন: সৌদি কমিশন
বেসামরিক শক্তির উৎস হিসেবে ইরান পারমাণবিক ক্ষেত্রগুলো ব্যবহার করছে। তবে ইসরায়েল বলছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দুয়ারে রয়েছে। এই অজুহাতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ সামরিক-বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অংশ নিয়ে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরার শুরুতে বলেন, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে অবগত নন তারা।
গ্রোসি তার বক্তব্যে ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাতের কথা তুলে ধরেন। গত শুক্রবারের হামলায় ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায় চারটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রোসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে:
১.
২. ইউরেনিয়াম রূপান্তর কেন্দ্র
৩. তেহরান রিঅ্যাক্টর ফুয়েল উৎপাদন কেন্দ্র
৪. সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতব প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র (যেটি নির্মাণাধীন)
তবে এইসব ক্ষয়ক্ষতির পরও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিকিরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়নি বলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেন রাফায়েল গ্রোসি।
আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থার মহাপরিচালক গ্রোসি নিরাপত্তা পরিষদে খন্দাব ভারী পানি গবেষণা রিঅ্যাক্টরে হামলার তথ্য দেন।
তিনি বলেন, আরাক অঞ্চলে নির্মাণাধীন খন্দাব ভারী পানি গবেষণা রিঅ্যাক্টরেও আঘাত হেনেছে। যেহেতু এটি চালু ছিল না এবং সেখানে কোনো পারমাণবিক পদার্থ ছিল না, তাই বিকিরণজনিত কোনো ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে না।
গ্রোসি জানান, নিকটবর্তী ভারী পানি উৎপাদন কেন্দ্রটিও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, তবে এখানেও তেজস্ক্রিয়তার কোনো আশঙ্কা নেই।
ঢাকা/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
সরাসরি: নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিলেন গ্রোসি
আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থা-আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তুলে ধরেছেন।
শুক্রবার (২০ জুন) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এই বৈঠক হয়। অবশ্য রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই; যদি ইসরায়েল সেখানে হামলা চালিয়েছে।
ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা পাহাড়ের নিচে ২০০ ফুটেরও বেশি গভীরতায়, যেখানে সাধারণ বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা কম। তবে ইরানের অন্যান্য পারমাণবিক ক্ষেত্রে হামলায় বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছে ইরান।
আরো পড়ুন:
ইরানের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশে ইরাকে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত
বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন: সৌদি কমিশন
বেসামরিক শক্তির উৎস হিসেবে ইরান পারমাণবিক ক্ষেত্রগুলো ব্যবহার করছে। তবে ইসরায়েল বলছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দুয়ারে রয়েছে। এই অজুহাতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ সামরিক-বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অংশ নিয়ে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরার শুরুতে বলেন, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে অবগত নন তারা।
গ্রোসি তার বক্তব্যে ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাতের কথা তুলে ধরেন। গত শুক্রবারের হামলায় ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায় চারটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রোসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে:
১. কেন্দ্রীয় রাসায়নিক পরীক্ষাগার
২. ইউরেনিয়াম রূপান্তর কেন্দ্র
৩. তেহরান রিঅ্যাক্টর ফুয়েল উৎপাদন কেন্দ্র
৪. সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতব প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র (যেটি নির্মাণাধীন)
তবে এইসব ক্ষয়ক্ষতির পরও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিকিরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়নি বলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেন রাফায়েল গ্রোসি।
আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থার মহাপরিচালক গ্রোসি নিরাপত্তা পরিষদে খন্দাব ভারী পানি গবেষণা রিঅ্যাক্টরে হামলার তথ্য দেন।
তিনি বলেন, আরাক অঞ্চলে নির্মাণাধীন খন্দাব ভারী পানি গবেষণা রিঅ্যাক্টরেও আঘাত হেনেছে। যেহেতু এটি চালু ছিল না এবং সেখানে কোনো পারমাণবিক পদার্থ ছিল না, তাই বিকিরণজনিত কোনো ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে না।
গ্রোসি জানান, নিকটবর্তী ভারী পানি উৎপাদন কেন্দ্রটিও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, তবে এখানেও তেজস্ক্রিয়তার কোনো আশঙ্কা নেই।
ঢাকা/রাসেল