ইইউ চায় আলোচনা, ‘আগ্রাসন’ বন্ধের শর্ত ইরানের
Published: 21st, June 2025 GMT
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। কূটনৈতিক আলোচনায় রাজি থাকলেও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, আগ্রাসন বন্ধ হলেই ইরান এ বিষয়ে বিবেচনা করবে।
ইরান ও ইসরায়েল সংঘাত বন্ধের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শুক্রবার (২০ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় কূটনৈতিক বৈঠকে বসেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এবং ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কাজা ক্যালাস বলেন, “আঞ্চলিক উত্তেজনা কারো জন্যই লাভজনক নয়, তাই আমাদের আলোচনার সুযোগ খোলা রাখা উচিত।”
আরো পড়ুন:
তেহরানের ‘জেন জি’: আমার ঘরই আমার কবর হোক, তবু উদ্বাস্তু হয়ে বাঁচব না
ঝিনাইদহে বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা
তিনি জানান, উভয় পক্ষই পারমাণবিকসহ বৃহত্তর বিষয় নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছে।
ইরানের সঙ্গে ‘চলমান আলোচনা’ অব্যাহত রাখতে আগ্রহী বলে জানান যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিও।
তিনি বলেন, “এটি একটি বিপজ্জনক মুহূর্ত এবং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না। আমরা ইরানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি।”
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার 'ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন', বলে জানান ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারোট।
তিনি মন্তব্য করেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল আলোচনার মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
জেনেভা বৈঠকের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচিও। তিনি বলেন, “আগ্রাসন বন্ধ হলেই ইরান এ বিষয়ে বিবেচনা করবে। আগ্রাসনকে “এই জঘন্য অপরাধের জন্য দায়ী করা হবে” বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, “ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ, এবং এর ওপর আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ইরান ‘আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার প্রয়োগ’ অব্যাহত রাখবে।”
শুক্রবার ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিরসনে আলোচনার মাধ্যমে একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে বৈঠকের আগে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পৌছান জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইইউর শীর্ষ কূটনীতিকরাও। ওয়াশিংটন থেকে রাতের ফ্লাইটে জেনেভায় পৌঁছেছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন ইইউ, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইইউ পরর ষ ট রমন ত র র ক টন ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
গণমাধ্যম সংস্কারে এক বছরেও অগ্রগতি নেই
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন কার্যকর হয়নি, গণমাধ্যম সংস্কারেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা একথা বলেন।
বক্তারা বলেন, এখনো তথ্য মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ করছে এবং সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগও তুলেছেন তারা।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ‘‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের জন্য হলেও সেখানে প্রকৃত সাংবাদিকদের বাদ দিয়ে সুবিধাভোগীদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চাই।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘যেদিন সাংবাদিকরা রাজপথে নামবে, সেদিন কেউ রেহাই পাবে না।’’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ বলেন, ‘‘আজ আমাদের আনন্দ ও বেদনার দিন। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটলেও এখনও গণতন্ত্র পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ। ভারতীয় টিভি চ্যানেল এখনো বন্ধ হয়নি। কিছু উপদেষ্টার অজ্ঞতা দেশকে অস্থির করে তুলছে।’’
বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরি বলেন, ‘‘সাইবার সিকিউরিটি আইন এখনো বাতিল হয়নি, এটা হাসিনার সরকারের মতোই দমনমূলক। ভোটহীন ১৭ বছর পর গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের আশায় অপেক্ষা করছি, কিন্তু এখনো সংস্কারের নামে শুধু প্রতিশ্রুতি শুনছি।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ১৭ বছর ধরে রাজপথে ছিলাম, রক্ত দিয়েছি। এবার যদি আবার প্রতারণা হয়, তাহলে সাংবাদিক সমাজ আর সহ্য করবে না।’’
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমে যারা স্বৈরাচারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, তারা এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। এই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গণমাধ্যমকে মুক্ত করতে হবে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ মুরসালীন নোমানী, রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাংবাদিক নেতা আব্দুল্লাহ মজুমদার সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/এএএম//