ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, হল ছাড়তে নির্দেশ
Published: 21st, June 2025 GMT
ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বলা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা দ্রুত হোস্টেল নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। এর মধ্যে কলেজের পুরোনো একটি ছাত্রাবাস বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণা করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তবে সেখানে কয়েকজন ছাত্র এখনো থাকছেন। তাঁদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার কথা বললেও সেখানে থাকছেন।
অধ্যক্ষ কামরুল আলম আরও বলেন, প্রতিবছর নতুন ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের এমবিবিবিএস শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ বছর ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। এসব বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ
এছাড়াও পড়ুন:
’৭১-কে ’২৪-এর মুখোমুখি না দাঁড় করানোর আহ্বান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
’৭১ ও ’২৪— বাংলাদেশের ইতিহাসে দুটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কিন্তু এ দুটি ঘটনাকে পরস্পরের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে বিভাজনের রাজনীতি চালানোর অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ ধরনের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলেছে, ’৭১ ও ’২৪ কখনোই একে অপরের পরিপন্থী নয়। বরং ১৯৪৭ সালে ভূখণ্ড অর্জন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা এবং ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি— এই তিনটি অধ্যায় একই ধারাবাহিক মুক্তিসংগ্রামের অংশ।
সংগঠনটি বলেছে, ‘মুজিববাদী সংবিধানের ফলে সৃষ্টি ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে ২০২৪-এর অভ্যুত্থানে। তাই ’৭১ ও ’২৪— উভয়ই আমাদের গৌরবের অংশ। এই সংগ্রামগুলোর প্রত্যেকটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শ্রদ্ধাভরে স্বীকার করে ও সমভাবে সম্মান করে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, ’৭১ ও ’২৪-কে মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রয়াস আসলে ‘শাপলা ও শাহবাগের বাইনারি’ ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা, যার মাধ্যমে আবারও আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হয়। অথচ ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ছিল মুজিববাদী শাসনব্যবস্থা ও বাহাত্তরের ত্রুটিপূর্ণ সংবিধানের ভিত্তিতে গঠিত দুর্বল রাষ্ট্র কাঠামোর বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সংগঠনটি বলেছে, ‘এ ধরনের অপরাজনীতি ছাত্র-জনতা কখনই মেনে নেবে না। আমরা জাতীয় স্বার্থ ও জনকল্যাণের পক্ষে রাজনীতির আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায়, কেউ যদি আওয়ামী লীগকে প্রাসঙ্গিক করার লক্ষ্যে এমন অপচেষ্টা চালায়, তাহলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে নিয়ে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।’
আরও পড়ুনবাম সংগঠনগুলোর ঘৃণা মিছিল, ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন১ ঘণ্টা আগে