সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের
Published: 21st, June 2025 GMT
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচন আর চলবে না। ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচন দেশের জনগণ মেনে নেবে না। সরকারকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
আজ শনিবার সকালে বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগের ২১টি সংসদীয় আসনের দায়িত্বশীলদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন এই জামায়াত নেতা।
সৈয়দ আবদুল্লাহ বলেন, ‘দেশ ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে। জনগণের মধ্যে আশাবাদী আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। কিন্তু মৌলিক সংস্কার এখনো হয়নি। দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ চাই আমরা। কেউ দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন। সভাপতির বক্তৃতায় মুয়াযযম হোসাইন বলেন, মানুষ অনেক দলকে দেখে হতাশ হয়েছে, এখন ইসলামী শাসন দেখতে চায়। জামায়াতই এখন জনগণের মনের চাওয়া।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম, বরিশাল মহানগর আমির জহির উদ্দিন, বরিশাল জেলা আমির আবদুল জব্বার, পিরোজপুর জেলা আমির তোফাজ্জেল হোসেন, ঝালকাঠি জেলা আমির হাফিজুর রহমান, ভোলা জেলা আমির জাকির হোসাইন, পটুয়াখালী জেলা আমির নাজমুল আহসান এবং বরগুনা জেলা আমির মহিব্বুল্লাহ হারুন।
২১ আসনে প্রার্থী ঘোষণাসমাবেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ২১টি আসনে জামায়াত মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থীদের পরিচয় তুলে ধরা হয়। জেলাগুলো হলো বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর।
২১ আসনে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন বরগুনা-১ (বরগুনা সদর, আমতলী, তালতলী) মুহিবুল্লাহ হারুন, বরগুনা-২ (বেতাগী, পাথরঘাটা, বামনা) সুলতান আহমেদ; পটুয়াখালী-১ (পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি) নাজমুল আহসান, পটুয়াখালী-২ (বাউফল) শফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা, দশমিনা) অধ্যাপক শাহ আলম, পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী) এম কাইউম; ভোলা-১ (ভোলা সদর) নজরুল ইসলাম, ভোলা-২ (দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন) মাওলানা ফজলুল করিম, ভোলা-৩ (তজুমদ্দিন, লালমোহন) মাওলানা আবদুল হক ও নিজামুল হক, ভোলা-৪ (মনপুরা, চরফ্যাশন) মুস্তফা কামাল; বরিশাল-১ (গৌরনদী, আগৈলঝাড়া) মাওলানা কামরুল ইসলাম, বরিশাল-২ (উজিরপুর, বানারীপাড়া) মাস্টার আবদুল মান্নান, বরিশাল-৩ (মুলাদী, বাবুগঞ্জ) জাহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, বরিশাল-৪ (মেহেন্দঅগঞ্জ, হিজলা) মাওলানা আবদুর জব্বার, বরিশাল-৫ (বরিশাল সদর, সিটি করপোরেশন) মুয়াযযম হোসাইন, বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) মাওলানা মাহমুদুন্নবী; ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর, কাঁঠালিয়া) হেমায়েত উদ্দিন, ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি সদর, নলছিটি) শেখ নেমাতুল করিম; পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, জিয়ানগর) মাসুদ সাঈদী, পিরোজপুর-২ (কাউখালী, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ) শামীম সাঈদী ও পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) শরীফ আবদুল জলিল।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম ঝ লক ঠ হ স ইন বর শ ল বরগ ন আবদ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ইসি মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠান: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, তাঁরা যতই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন, ততই বুঝতে পারছেন, এটি একটি ‘মেরুদণ্ডহীন’ প্রতিষ্ঠান।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এনসিপির একটি প্রতিনিধিদল। পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোথায় কোথায় সমস্যা, তা তাঁরা জনগণের সামনে তুলে ধরছেন। ইসি যে মেরুদণ্ডহীন একটি প্রতিষ্ঠান, তা তাদের কাজের মধ্য দিয়ে আস্তে আস্তে প্রকাশ পাবে। তিনি বলেন, আগে ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এবার ভোট ‘নেওয়ার’ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য পাঁয়তারা হচ্ছে। এনসিপি এখনো ইসির দুর্বলতা ও ভুলগুলো তুলে ধরে সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশন দেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তাঁরা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে দেখেছেন, এই প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ অঙ্গজুড়ে সামরিক উর্দি পরা পোশাকে ও বাকিটুকু দলীয় পোশাকে আবৃত।
এই নির্বাচন কমিশনের অধীন এনসিপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমরা আপাতত যে অবস্থায় আছি, সেটা আমরা বলেছি। যে গত ১৫ বছরে ভোট দিতে পারে নাই। এখনো ভোট নেওয়ার সিস্টেম নাই। যদি আমি ভোট নিতেই না পারি, জনগণ যদি আমাকে ভোট দিতে আসে, আর আমাকে যদি বাধাগ্রস্ত করা হয়, ভোট নেওয়ার জন্য, তো সেখানে যখন আমি বুঝব আমাকে ভোট নিতে দিবে না, সেখানে গত ১৫ বছরে তো অনেকে ভোটে অংশগ্রহণ করে নাই। যদি আমাকে ভোট না দিতে দেয় তারা, তাহলে আমি কেন অংশগ্রহণ করব? কিন্তু এই প্রক্রিয়াটা এখনো অ্যান্ডিং প্রসেসে আসে নাই।’
নির্বাচন কমিশনকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন যদি সামরিক উর্দি পরে, দলীয় উর্দি পরে তার মেরুদণ্ড বিকিয়ে দিতে চায় এবং ভোট না দিতে চায়, তাহলে ফাইনালি হয়তোবা এ সিদ্ধান্তে যেতে আমরা বাধ্য হব।’
এ সময় এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নিবন্ধনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসির পক্ষ থেকে এনসিপিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ইসির কিছু পর্যবেক্ষণ ছিল। সে পর্যবেক্ষণগুলোর আলোকে কিছু নতুন ডকুমেন্ট তাঁরা আজ ইসির কাছে জমা দিয়েছেন।