সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচন আর চলবে না। ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচন দেশের জনগণ মেনে নেবে না। সরকারকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

আজ শনিবার সকালে বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগের ২১টি সংসদীয় আসনের দায়িত্বশীলদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন এই জামায়াত নেতা।

সৈয়দ আবদুল্লাহ বলেন, ‘দেশ ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে। জনগণের মধ্যে আশাবাদী আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। কিন্তু মৌলিক সংস্কার এখনো হয়নি। দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ চাই আমরা। কেউ দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন। সভাপতির বক্তৃতায় মুয়াযযম হোসাইন বলেন, মানুষ অনেক দলকে দেখে হতাশ হয়েছে, এখন ইসলামী শাসন দেখতে চায়। জামায়াতই এখন জনগণের মনের চাওয়া।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম, বরিশাল মহানগর আমির জহির উদ্দিন, বরিশাল জেলা আমির আবদুল জব্বার, পিরোজপুর জেলা আমির তোফাজ্জেল হোসেন, ঝালকাঠি জেলা আমির হাফিজুর রহমান, ভোলা জেলা আমির জাকির হোসাইন, পটুয়াখালী জেলা আমির নাজমুল আহসান এবং বরগুনা জেলা আমির মহিব্বুল্লাহ হারুন।

২১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা

সমাবেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ২১টি আসনে জামায়াত মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থীদের পরিচয় তুলে ধরা হয়। জেলাগুলো হলো বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর।
২১ আসনে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন বরগুনা-১ (বরগুনা সদর, আমতলী, তালতলী) মুহিবুল্লাহ হারুন, বরগুনা-২ (বেতাগী, পাথরঘাটা, বামনা) সুলতান আহমেদ; পটুয়াখালী-১ (পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি) নাজমুল আহসান, পটুয়াখালী-২ (বাউফল) শফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা, দশমিনা) অধ্যাপক শাহ আলম, পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী) এম কাইউম; ভোলা-১ (ভোলা সদর) নজরুল ইসলাম, ভোলা-২ (দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন) মাওলানা ফজলুল করিম, ভোলা-৩ (তজুমদ্দিন, লালমোহন) মাওলানা আবদুল হক ও নিজামুল হক, ভোলা-৪ (মনপুরা, চরফ্যাশন) মুস্তফা কামাল; বরিশাল-১ (গৌরনদী, আগৈলঝাড়া) মাওলানা কামরুল ইসলাম, বরিশাল-২ (উজিরপুর, বানারীপাড়া) মাস্টার আবদুল মান্নান, বরিশাল-৩ (মুলাদী, বাবুগঞ্জ) জাহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, বরিশাল-৪ (মেহেন্দঅগঞ্জ, হিজলা) মাওলানা আবদুর জব্বার, বরিশাল-৫ (বরিশাল সদর, সিটি করপোরেশন) মুয়াযযম হোসাইন, বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) মাওলানা মাহমুদুন্নবী; ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর, কাঁঠালিয়া) হেমায়েত উদ্দিন, ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি সদর, নলছিটি) শেখ নেমাতুল করিম; পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, জিয়ানগর) মাসুদ সাঈদী, পিরোজপুর-২ (কাউখালী, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ) শামীম সাঈদী ও পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) শরীফ আবদুল জলিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম ঝ লক ঠ হ স ইন বর শ ল বরগ ন আবদ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন হলে দেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে: সেনাসদর

দেশের জনগণের মতো সেনাবাহিনীও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরো ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সেনাসদরে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান।

আরো পড়ুন:

‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

তিনি বলেন, “দেশের জনগণের মতো সেনাবাহিনীও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সে রূপরেখার মধ্যে সময়সীমাও দেওয়া আছে। আমরা আশা করি নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরো ভালো হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আারো স্বাভাবিক হবে এবং সেনাবাহিনী তখন সেনানিবাসে ফিরে যেতে পারবে। আমরা সেদিকে তাকিয়ে আছি।”

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান আরো বলেন, “সরকার এখন পর্যন্ত নির্বাচনের যেটুকু রূপরেখা প্রণয়ন করেছে সেটার ওপর ভিত্তি করে সেনাবাহিনী যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। আমাদের যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এখন সীমিত আকারে চলছে তার মধ্যে নির্বাচনের সময় আমাদের কী করণীয় সেটাকে ফোকাসে রেখেই প্রশিক্ষণ করছি।”

তিনি আরো বলেন, “প্রশিক্ষণের সঙ্গে একটি বিষয় সম্পর্কিত তা হলো শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। আমরা বলে থাকি ‘উই ট্রেইন এজ উই ফাইট'।”

গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী বাইরে আছে উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, “নির্বাচন পর্যন্ত বা তার কিছুটা পরেও যদি বাইরে থাকতে হয় তাহলে আরো কিছুদিন বাইরে থাকতে হবে। এতে করে আমাদের প্রশিক্ষণ বিঘ্নিত হচ্ছে।”

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান বলেন, “এর পাশাপাশি যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গত ১৫ মাস যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে সেনাবাহিনী, এটা সহজ পরিস্থিতি ছিল না। এ ধরনের পরিস্থিতি বাংলাদেশ প্রতিদিন ফেস করেনি। এজন্য আমরাও চাই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং আমরা সেনানিবাসে ফেরত আসতে পারি।”

গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সহয়তায় নিয়জিত আছে এবং অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। এই ১৫ মাস সেনাবাহিনী অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে,” বলেও উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এনসিপির প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
  • প্রয়োজনে প্রথম আলোর সম্পাদককে মনোনয়ন দেবে এনসিপি: নাসীরুদ্দীন
  • নির্বাচন হলে দেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে: সেনাসদর
  • নির্বাচন দেরি হলে বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা–বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা আছে: জামায়াতের আমির
  • কক্সবাজারে পুরনোদের ওপর আস্থা রাখল বিএনপি
  • জনগণের সহজে ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে হবে: সিনিয়র সচিব
  • অবিলম্বে গণভোটের দাবি চাকসুর
  • ক্ষমতার লোভে কেউ কেউ ধর্মকে ব্যবহার করছে: আব্দুস সালাম
  • উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
  • ভুল শুধরে জনগণের আস্থা ফেরানোর সুযোগ এই নির্বাচন: আইজিপি