সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতিভা সমাজকল্যাণ সংস্থার বৃক্ষরোপন কর্মসূচী উদ্বোধন
Published: 21st, June 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতিভা সমাজকল্যাণ সংস্থার আয়োজনে নাসিক ৭নং ওয়ার্ডের কদমতলী বড় পুকুর পাড় এলাকায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচী উদ্বোধন হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ও নাসিক ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জি. এম. সাদরিল শুক্রবার সকালে িএ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।
প্রতিভা সমাজকল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান এড. হাবিবুর রহমান মাসুমের সভাপতিত্বে বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুন দলের সভাপতি টি এইচ তোফা, মলোশিয়ান জাহাঙ্গীর, এপিপি এ্যাড মো.
এ সময় জি. এম. সাদরিল বলেন, সমাজের ভালো কাজে সবাইকে কাজ করতে হবে। আমরা যারা সমাজের সাথে জড়িত অনেকেই ভালো কাজের থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। সামাজিক কাজ গুলোর ক্ষেত্রে আমরা দ্বিধাবোধ করি।
আমি প্রতিভা সমাজকল্যাণ সংস্থার সকল কে ধন্যবাদ জানাই তারা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
সাদরিল আরও বলেন, আমি এই এলাকার বৃত্তবান ও রাজনীতিবিদদের কাছে আমারা অনুরোধ থাকবে যে আপনারা রাজনীতির পাশাপশি এলাকার সামাজিক কর্মকান্ডে সাথে জড়িত থাকবেন, যাতে করে এলাকার জনগণ ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারে, ভালোভাবে বাচতে পারে মাদক মুক্ত একটা সমাজ গঠন করতে পারে।
প্রতিভা সমাজকল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান এ্যাডঃ হাবিবুর রহমান মাসুম বলেন, আমরা সবসময় এলাকার এন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
আপনারা দেখেছেন এর আগেও আমরা বৃক্ষরোপন করেছি, এলাকার শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করেছি, বিনামূল্যে সুন্নতে খতনা, ৭নং ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননাসহ আরো অনেক কাজ করেছে। আমরা সবসময় আমাদের প্রতিভা সমাজকল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নের কাজ করে যাব।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রতিভা সমাজকল্যাণ সংস্থার মহাসচিব রাজিব হোসেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ এল ক র ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
কোনো দলের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হলে জোট হতে পারে: সারজিস আলম
আগামীর বাংলাদেশ এবং জনগণের স্বার্থ সামনে রেখে যদি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়, তাহলে নির্বাচনী জোট হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরের একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এনসিপির কমিটি গঠন উপলক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার আহ্বায়ক এবং সদস্যসচিবের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সারজিস আলম বলেন, ‘যদি তারা (রাজনৈতিক দল) জুলাই সনদ বাস্তবায়নে একমত থাকে, বিচারিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একমত থাকে, যদি তারা বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্টবিরোধী তাদের শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে পারে—এ বিষয়গুলোতে যদি আমরা ঐকমত্য হতে পারি, তাহলে জনগণের স্বার্থে অ্যালায়েন্স (নির্বাচনী জোট) হতে পারে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলমান, তবে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
আগামী নির্বাচনে এনসিপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে যদি প্রতিটি ওয়ার্ডে এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি থাকে, তাহলে ৩০০ আসনে শক্তিশালী প্রার্থী দিতে পারবেন। কমিটি গঠনের বিষয়ে কাজ চলছে।
আগামী সংসদ নির্বাচনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) অংশগ্রহণ করার কোনো অধিকার নেই উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং তাদের যারা দোসর জাতীয় পার্টি, তাদেরও আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনো অধিকার নেই। এই জাতীয় পার্টির কত বড় সাহস, এই জিএম কাদেররা এবং এঁদের যারা সাঙ্গপাঙ্গ আছে, এরা যে খুনিদের দোসর এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ওই খুনিদের মদদদাতা, তার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়। তারা যখন বলে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না! তাদের জন্মদাতা যে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ যে তাদের পেলেপুষে বড় করেছে, এর প্রমাণ তারা আবার নতুন করে দিচ্ছে। তাদের জাত চেনাচ্ছে। এই খুনিদের আগামীর বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার নেই।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নে সারজিস আলম বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন আমাদের শাপলা প্রতীক দিতে গিয়ে তারা তাদের জায়গা থেকে একটি লম্বা সময় স্বেচ্ছাচারিতা করেছে এবং কোনো আইনগত বাধা না থাকা সত্ত্বেও আমাদেরকে শাপলা না দিয়ে শাপলা কলি দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে আমাদের জায়গা থেকে আহ্বান করব, তারা যদি ওই একই ধরনের আচরণ আগামী দিনে করে, তাহলে তাদের ওপর আস্থার সংকট তৈরি হবে। আমরা চাই, তারা সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠুভাবে তাদের প্রতিষ্ঠানের স্বাধীন যে সাংবিধানিক অবস্থা, তা যেন বজায় রাখে। তারা যেন পূর্বের মতো কোনো দলীয় নির্বাচন কমিশনে পরিণত না হয়। যদি কারও ভেতর এমন চিন্তা বা চেষ্টা থাকে, তাহলে তাদের পরিণতি তাদের পূর্বসূরিদের মতো হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারোয়ার, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলম প্রমুখ।