ইরানের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর জনসমর্থন পেতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ইসরায়েল। 

দেশটি বলছে, ইরান এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে, যা ইউরোপেও আঘাত হানতে পারে এবং এতে পারমাণবিক অস্ত্র বহনের সক্ষমতাও রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে এ-সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি ভিডিও বিজ্ঞাপন চালু করেছে ইসরায়েলি সরকার। তাদের তৈরি এই প্রচারণায় নাটকীয় ভিডিও ও অ্যানিমেশন ব্যবহার করে দেখানো হচ্ছে, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি শুধু ইসরায়েল নয়, পুরো ইউরোপ ও পশ্চিমা বিশ্বের জন্য হুমকি। 

একটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘এটি ভবিষ্যতের নয়, আজকের হুমকি। ইরানের বয়ে আনা বিপদ এখনই থামানো না গেলে, অচিরেই হুমকির মুখে পড়বে পুরো মানবসভ্যতা।’

আরেকটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইরান যেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি পুরো শহরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়, সেখানে ইসরায়েল সুনির্দিষ্টভাবে সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করে, এসব হামলায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের আঘাত না করার চেষ্টা করে বলেও দাবি করা হয় ওই বিজ্ঞাপনে। এসব বিজ্ঞাপনের প্রতিটির বিষয়বস্তু আলাদা হলেও, সব ভিডিওর শেষে একই ধরনের একটি বার্তা প্রচার করা হয়– ‘ইসরায়েল যা করতেই হয়, শুধু তাই করে।’

এই বিজ্ঞাপনগুলো ইউরোপের যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে গুগল, ইউটিউব ও ফেসবুকে দেখানো হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে মাত্র এক সপ্তাহেই এমন ২৭টি বিজ্ঞাপন চালানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টুবি নামের একটি স্ট্রিমিং টিভি প্ল্যাটফর্মেও এমন ভিডিও সম্প্রচারিত হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যা ও ইরানে সাম্প্রতিক হামলার পর ইউরোপে ইসরায়েলের জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। প্রায় সব বড় শহরেই দেখা যাচ্ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভও। এক জরিপে দেখা গেছে, ইউরোপের ছয়টি দেশে ইসরায়েল সম্পর্কে ইতিবাচক মতামত ২০ শতাংশেরও নিচে নেমে এসেছে।

এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণদের লক্ষ্য করে এসব ভিডিও বিজ্ঞাপন প্রচার করে নতুনভাবে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে ইসরায়েল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সোমবার এ বিষয়ে আলোচনা করবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল ইউর প ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা সম্পন্ন করেছে। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান। খবর বিবিসির।

নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে—খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।’

ট্রাম্প একটি ওপেন-সোর্স ইন্টেলিজেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে- শক্তিশালীভাবে সুরক্ষিত ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা নাই হয়ে গেছে। আল–জাজিরা।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, আজ ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় রাত ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি।

ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘এটি (ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও পুরো বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ