বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের প্রেমিকাদের নামের তালিকা অনেক দীর্ঘ। প্রেম যমুনায় ভেসে বেড়ালেও কারো সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হয়নি তার। মেঘে মেঘে বেলা অনেক গড়িয়েছে। বয়স ঊনষাট চললেও এখনো ব্যাচেলর সালমান খান। কী কারণে সংসারী হননি যদিও তা অজানা।

সালমান খানের জীবনে ১৮ জন নারী এসেছিলেন। নাম জড়িয়েছে শাহীন জাফরি, পার্সিস খামবাতা, সোমি আলী, সংগীতা বিজলানি, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, ক্যাটরিনা কাইফের মতো তারকাদের সঙ্গে। ইন্ডিয়া টাইমস, ফিল্মিবিটের প্রতিবেদনে জানা যায়, সালমানের জীবনে ১৮ জন নারীর আগমন ঘটেছে। তবে জনপ্রিয় কমেডিয়ান কপিল শর্মার ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এর তৃতীয় সিজনে উপস্থিত হয়ে সালমান দিলেন ভিন্ন তথ্য।

এই এপিসোডে কপিল শর্মা রসিকতা করে বলেন, “বান্ধবীদের ক্ষেত্রে সালমান বরাবরই ভাগ্যবান।” কিন্তু সালমান তা অস্বীকার করে বলেন, “এটা সত্যি নয়, যদি আমার গড় দেখেন, তাহলে তা খুবই খারাপ।”

আরো পড়ুন:

সালমানের নতুন নায়িকাকে কতটা জানেন?

ষাটে আমিরের প্রেম, ঠাট্টা করলেন সালমান খান

ব্যাখ্যা করে সালমান খান বলেন, “আমার বয়স ৫৯ বছর। কিন্তু আমার মাত্র ৩-৪ জন বান্ধবী ছিল। আপনি যদি ভেবে দেখেন, তাহলে এক একেকটা সম্পর্ক প্রায় ৭-৮ বছর ধরে চলেছে। কখনো কখনো আমার সম্পর্ক ১২ বছর পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। বর্তমান যুগের ছেলে-মেয়েদের তুলনায় এটা খুবই খারাপ গড়। আপনি জানেন, তারা কীভাবে একটি সম্পর্ক থেকে অন্য সম্পর্কে লাফিয়ে পড়েন। তাদের তুলনায় আমি পুরোনো দিনের মানুষ।”

বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর সালমান খানের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ক্রমাগত হত্যার হুমকি মাথায় নিয়ে কাজ করে গেলেও ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্ন হননি। গত কয়েক বছরে বেশ কটি সিনেমা উপহার দিলেও বক্স অফিসে সুবিধা করতে পারেননি সালমান।

চলতি বছরের মার্চ মাসে মুক্তি পায় সালমান খান অভিনীত ‘সিকান্দার’ সিনেমা। এতে তার বিপরীতে প্রথমবার অভিনয় করেন রাশমিকা মান্দানা। হাঁটুর বয়সি নায়িকার সঙ্গে রোমান্স করলেও তা দর্শকদের মন জয় করতে পারেনি। বরং ৩০ বছরের ছোট নায়িকার সঙ্গে রোমান্স করে কটাক্ষের শিকার হন। অন্যদিকে, বক্স অফিসে গড়পড়তা আয় করে সিনেমাটি।

সব পেছনে ফেলে নতুন সিনেমার কাজ হাতে নিয়েছেন সালমান খান। নাম ঠিক না হওয়া সিনেমাটি পরিচালনা করবেন অপূর্ব লাখিয়া। অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার এই সিনেমায় প্রথমবার জুটি বাঁধতে চলেছেন সালমান-চিত্রাঙ্গদা সিং।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আরচার আলিফের সোনালি হাসি

গায়ে লাল-সবুজের পতাকা জড়িয়ে দাঁড়ান পোডিয়ামে। একটু পর সাউন্ড বক্সে বেজে ওঠে ‘আমার সোনার বাংলা..’। আবেগ ছুঁয়ে যায় আব্দুর রহমান আলিফকে। তাঁর সৌজন্যে সিঙ্গাপুরের আকাশে উড়েছে বাংলাদেশের পতাকা, বেজেছে জাতীয় সংগীত। অনেক দিন পর বাংলাদেশের আরচারি থেকে মিলল সুখবর। এশিয়ান কাপ আরচারির স্টেজ টুতে সোনালি হাসি হেসেছেন ১৯ বছর বয়সী আলিফ। গতকাল বুকিত গমবাক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত পুরুষদের রিকার্ভ এককের ‎ফাইনালে জাপানের মিয়াতা গাকুতোকে ৬-৪ সেট পয়েন্টে হারিয়ে প্রথমবার স্বর্ণপদক জিতেছেন পাবনার এ তীরন্দাজ। বাংলাদেশের দ্বিতীয় আরচার হিসেবে এশিয়ান লেভেলে স্বর্ণ জিতেছেন। 

এর আগে সর্বশেষ এশিয়া কাপ আরচারি স্টেজ থ্রিতে স্বর্ণ জিতেছিলেন আমেরিকায় পাড়ি জমানো রোমান সানা। ২০১৯ সালে এ মঞ্চের লেগ-৩ এ বাংলাদেশকে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছিলেন রোমান।
অতীতে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিলেও পদকের মঞ্চে যেতে পারেননি আলিফ। বিশ্বকাপ, এশিয়ান আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়ান আরচারির গ্রাঁ প্রিঁর মতো আসরে রিকার্ভ এককে বরাবরই হতাশ হওয়া আলিফ শুক্রবার ফাইনালে স্নায়ুর লড়াইয়ে হাসেন শেষ হাসি। অথচ জাপানের গাকুতোর বিপক্ষে প্রথম দুই সেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখানো আলিফের জয়টি মনে হয়েছিল সময়ের অপেক্ষা। প্রথম ও দ্বিতীয় সেট জিতে নেন ২৮-২৭, ২৯-২৮ ব্যবধানে। কিন্তু পরের দুই সেটে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ানো জাপানের প্রতিযোগীর কাছে আলিফ হেরে যান ২৮-২৭, ২৭-২৬ পয়েন্টে। পঞ্চম সেটে গিয়ে ছন্দে ফেরা এ তীরন্দাজ ২৯-২৬ পয়েন্টে করেন বাজিমাত। তাঁর সঙ্গে সিঙ্গাপুরে থাকা বাংলাদেশ দলের বাকিরাও উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। 
২০১৮ সালে বিকেএসপিতে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া আলিফ তখনও জানতেন না তীর-ধনুক হাতে নিবেন। কারণ আগে আরচারি খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না তাঁর। জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলেও সবসময় আড়ালে পড়ে ছিলেন। রোমান সানার পর রিকার্ভ ইভেন্টে বড় তারকা হয়ে উঠেছিলেন হাকিম আহমেদ রুবেল। তিনিও যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালে আলোয় আসেন সাগর ইসলাম। কিন্তু তিনি এই আসরে ব্যর্থ হলে আলিফ একাই হাল ধরেন রিকার্ভ পুরুষ ইভেন্টে। স্বর্ণ জয়ের অনুভূতি এভাবেই প্রকাশ করেন এ তীরন্দাজ, ‘অনুভূতিটা অন্যরকম। এই প্রথমবার আমি বিদেশে আমার দেশের জাতীয় সংগীত বাজাতে পেরেছি। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এটা আমার প্রথম স্বর্ণ।’ 

এখানেই থেমে থাকতে চান না আলিফ। এইচএসসি পরীক্ষার্থী আলিফের চাওয়া বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা, ‘সামনে আমার লক্ষ্য ২০২৮ অলিম্পিকে মেডেল নিয়ে আসা। সেই ধারাবাহিকতায় অনুশীলন করছি। সুযোগ-সুবিধা ভালো হচ্ছে। বেশি ম্যাচ খেললে আমাদের র্যাঙ্কিং উন্নতি হবে এবং আমরা টিমসহ অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করতে পারব। ফেডারেশন বা সরকারের কাছে চাওয়া যেন সব গেমসে অংশ নিতে পারি। আন্তর্জাতিক আঙিনায় বেশি খেললে অলিম্পিকে সরাসরি কোয়ালিফাই করাটা সহজ হয়ে যাবে।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথমবার একসঙ্গে অপি ও তাহসান
  • শুধু জুডকেই নয়, গোল করে ল্যাম্পার্ডকেও মনে করিয়ে দিলেন জোব বেলিংহাম
  • আরচার আলিফের সোনালি হাসি
  • প্রথমবার দেশের বাইরে বল করেই নাঈমের বাজিমাত
  • সালমানের নতুন নায়িকাকে কতটা জানেন?