যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প: আরাঘচি
Published: 22nd, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান ও মার্কিন জনগণ উভয়ের সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন- এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। দেশটির পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় এ কথা তিনি।
টেলিভিশনে প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে আরাঘচি বলেন, যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়বহুল যুদ্ধে অংশগ্রহণের অবসান ঘটানোর একটি প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্বাচিত হয়েছিলেন, তিনি কূটনীতির প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির অপব্যবহার করে কেবল ইরানের সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা করেননি, বরং একজন ওয়ান্টেড যুদ্ধাপরাধীর মিশনে আত্মসমর্পণ করে তার নিজস্ব ভোটারদেরও প্রতারিত করেছেন।
মার্কিন হামলার পর ইরানের আলোচনায় ফিরে আসার জন্য কী কী শর্ত থাকবে জানতে চাইলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরানকে কূটনীতিতে ফিরে যেতে বলা অপ্রাসঙ্গিক। আমরা কূটনীতির মাঝামাঝি ছিলাম। আমরা যখন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার মাঝপথে ছিলাম তখন ইসরায়েলিরা হামলা চালিয়ে তা উড়িয়ে দেয়। ইউরোপীয় নেতাদের সাথে আমরা আলোচনার মাঝখানে ছিলাম; এবার যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়ে এটি উড়িয়ে দিল।
তাই ইরান নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারা আলোচনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, আরাঘচি যোগ করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রমন ত র য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র র ক টন ত কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বরগুনার পূর্বের তিনটি আসন পুনর্বহাল দাবি
বরগুনার পূর্বে বিদ্যমান তিনটি আসন পুর্নবহালের দাবি জানিয়েছেন জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে বরগুনার তিনটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে বরগুনা জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন বলেন, “এ জেলায় প্রায় ১১ লাখ ভোটার। অষ্টম জাতীয় নির্বাচনের পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কিছু সুবিধাভোগী নেতা বরগুনাবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তিন আসনকে বিলুপ্ত করে দুটি আসন করে।”
তিনি বলেন, “এই দাবি শুধুই একটি জেলার পূর্বের তিনটি সংসদীয় আসন পুর্নবহালের দাবি নয়, এটি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের কণ্ঠস্বরের দাবি।আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বরগুনার পূর্বের তিনটি সংসদীয় আসন ফেরত দেন, বরগুনার অধিকার ফিরিয়ে দেন। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন এবং অবহেলিত বরগুনা জেলাবাসীর সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেন।”
শাহীন বলেন, “আমরা আমাদের ন্যায্য দাবিতে হাইকমিশনারে রিট করেছি। প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আবেদন জানিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, সরকার এই ১১ লাখ ভোটারদের দাবি আমলে নিয়ে এ জেলায় তিনটি আসন পুনর্বহাল করবে।”
তিনি বলেন, “বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা, নয়টি খরস্রোতা নদীবেষ্টিত এক অনন্য জেলা বরগুনা। এই জেলার নদী, খাল, উপকূল, কৃষি ও মৎস্য সম্পদ শুধু বরগুনার নয় বরং বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ব্লু-ইকোনমির ভবিষ্যতের চালিকাশক্তি। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, বরগুনা জেলার নির্বাচনি সীমানা পরিবর্তনের কারণে আমরা পূর্বের তিনটি সংসদীয় আসন হারিয়েছি। সংসদে বরগুনার জনগণের প্রতিনিধিত্বের অধিকার হারিয়েছি, উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছি।”
শাহীন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি নির্বাচন কমিশন আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আমরা বরগুনাবাসী কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করব, ইনশাআল্লাহ।”
সংবাদ সম্মেলনে জেলার রাজনৈতিক দলের নেতা, বিভিন্ন পেশাজীবি এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ