গফরগাঁওয়ে নিখোঁজর পাঁচ দিন পর জলাশয়ে মিলল শিশুর মরদেহ
Published: 22nd, June 2025 GMT
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর আলিফ খান (৫) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত আলিফ উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের স্বল্পছাপিলা গ্রামের সৌদিপ্রবাসী কানন খানের ছেলে। সে স্বল্পছাপিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
গত বুধবার বেলা দেড়টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় আলিফ। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে পাগলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আজ বিকেলে বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দক্ষিণে প্রতিবেশী ওয়াসিম খানের কচুরিপানাযুক্ত পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পরে পাগলা থানা-পুলিশ জলাশয় থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
শিশুটির প্রতিবেশী রাহাত খান বলেন, সৌদিপ্রবাসী কানন খানের একমাত্র ছেলে ছিল আলিফ। অনেকে বলছেন, শিশুটিকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই পরিবারের সঙ্গে কারও বিরোধ নেই।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, পাঁচ দিনে শিশুটির মরদেহ গলতে শুরু করেছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ শ ট র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
নান্দাইলের ইউএনও’র দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সদ্য সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ওঠা ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে ৫ কোল পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন
উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যরা গত ২৮ মার্চ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ করেন।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাকালীনও সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। যা নিয়ে তখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে সারমিনা সাত্তার যোগ দেন। এরপর থেকে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ইজারা, পাথর কেলেঙ্কারি, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ, নামজারিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ভুয়া প্রকল্প থেকে টাকা উত্তোলনসহ নানা দুর্নীতি করেছেন।
বক্তব্যে ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজ বলেন, ‘‘সারমিনা সাত্তার শুধু অনিয়ম-দুর্নীতিতে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, ইউপি সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণসহ মিথ্যা মামলার হুমকিও দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি।’’
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন খারুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুস কদ্দুস মুন্সি, বাচ্চু মিয়া, শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহজাহান প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে সারমিনা সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/মিলন/বকুল