রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার বনানী ও ধানমন্ডি এলাকা থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের কারোর পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আজ ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে পুলিশ ধানমন্ডি লেকের পানসি রেস্তোরাঁর পেছন থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে। তাঁর বয়স ২৫ বছর হতে পারে। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গলে তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, যুবকটি সাঁতার জানেন না। তিনি হয়তো পানিতে ডুবে মারা গেছেন।

অপর ঘটনায় গতকাল পুলিশ বনানী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। তাঁর বয়স ২৩ বছর হতে পারে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বজলুর রশীদ বলেন, উদ্ধার করা লাশটির মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম রয়েছে। ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর ডান হাতে ট্যাটু ছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বক র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক চিফ হুইফ আ স ম ফিরোজ, তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইফ আ স ম ফিরোজ, তাঁর স্ত্রী দেলোয়ারা সুলতানা ও ছেলে রায়হান শাকিবের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার পটুয়াখালীর দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক তানভীর আহমদ বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা করেন।

পটুয়াখালী-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ দশম জাতীয় সংসদে চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন।

আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ থেকে আসামির মোট আয় ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৬ টাকা। সর্বমোট ব্যয় ৫ কোটি ৯০ লাখ ৩ হাজার ৮৭৭ টাকা। আর তাঁর সঞ্চয় খাতে পাওয়া গেছে ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকা। এ ছাড়া আসামির নামে ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকার সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে দুদক। তাঁর নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৪ টাকার অতিরিক্ত সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে।

দেলোয়ারা সুলতানার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি ৬৮ লাখ ১১ হাজার ৮৯৭ টাকা আয় দেখিয়েছেন। তাঁর পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ১৮ লাখ ৩৩৪ টাকা। এ ছাড়া তাঁর সঞ্চয় খাতে ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁর নামে ১ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২১৭ টাকার সম্পদ রয়েছে। অনুসন্ধানে আসামির নামে আয়বহির্ভূত ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা অতিরিক্ত সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক।

রায়হান শাকিবের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামির মোট আয় ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ১২ টাকা। তাঁর সর্বমোট ব্যয় ১ কোটি ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯৮ টাকা। তাঁর সঞ্চয় খাতে রয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। এ ছাড়া তাঁর নামে ৬ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৮৪২ টাকার সম্পদ রয়েছে। আসামির নামে আয়বহির্ভূত ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২ টাকা মূল্যের সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক।

মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক তানভীর আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আ স ম ফিরোজে নামে আয়বহির্ভূত অতিরিক্ত ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৪ টাকা, তাঁর স্ত্রীর নামে ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা এবং তাঁর ছেলের নামে ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২ টাকা মূল্যের আয়বহির্ভূত সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের সপক্ষে আসামিরা কোনো উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বুয়েটের সেই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার করার কথা জানাল পুলিশ
  • সাবেক চিফ হুইফ আ স ম ফিরোজ, তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • কমছে আলুর উৎপাদন, লোকসানে কৃষকেরা
  • রিসোর্টের সুইমিংপুলে সাঁতার কাটছে কুমির