মা, নানা ও দাদির পর মারা গেল আহত সেই নবজাতক
Published: 22nd, June 2025 GMT
পৃথিবীর আলোতে আসার একদিনের মাথায়ই মারা গেছে সেই নবজাতক। বরগুনার আমতলীতে শনিবার দুপুরের দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল সে। ওই দুর্ঘটনায় তার মা মোসাদ্দিকা বেগম, নানা আব্দুল আজিজ খান ও দাদি খালেদা বেগম মারা যান।
আজ শনিবার রাত ৯টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে নবজাতকটি।
আজিজ খান আমতলীর মধ্য সোনাখালী গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে তাঁর মেয়ে মোসাদ্দিকা তৃতীয় কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় নবজাতককে পটুয়াখালী নেওয়ার পরামর্শ দেন স্থানীয় চিকিৎসকেরা। শনিবার দুপুর ২টার দিকে তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি কেওয়াবুনিয়া হাইস্কুলের উত্তর পাশে দুর্ঘটনার শিকার হয়। পেছন থেকে ঢাকাগামী ইকরা লাক্সারি লিমিটেডের বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৮৯৫৩) ধাক্কায় সেটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আজিজ খান ও খালেদা বেগম প্রাণ হারান। হাসপাতালে মারা যান মোসাদ্দিকা।
গুরুতর আহত হন মোসাদ্দিকার স্বামী মো.
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. ওয়াহিদ শামিমের ভাষ্য, শিশুটি দুর্ঘটনায় মাথা-মুখসহ শরীরের নানা স্থানে আঘাত পায়। দীর্ঘ সময় পানিতে পড়ে থাকায় শরীরের তাপমাত্রাও কমে গিয়েছিল। আইসিইউতে রাখা হলেও বাঁচানো যায়নি শিশুটিকে। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বরগুনায় গণ-অভ্যুত্থানের শোভাযাত্রা শেষে বাসচাপায় ইসলামী আন্দোলনের নেতা নিহত
বরগুনার আমতলীতে গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতির শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে রেজাউল করিম (৪০) নামের এক ব্যক্তি বাসচাপায় নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরেক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ঘটখালী গ্যাসপাম্প–সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রেজাউল করিম উপজেলার ডালাচারা এলাকার বাসিন্দা ও আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। দুর্ঘটনার পর দলের নেতা-কর্মীরা তাঁর মরদেহ নিয়ে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের ঘটখালী এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। পরে বাস আটকের খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে গতকাল শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করেন ইসলামী আন্দোলনের আমতলী শাখার নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যার আগে কর্মসূচি শেষ হয়। সেখান থেকে রেজাউল মোটরসাইকেলে আবদুল হক নামের এক ব্যক্তিকে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয় বিপরীত দিক থেকে আসা কুয়াকাটাগামী ছন্দা পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই রেজাউল নিহত হন। সেই সঙ্গে আবদুল হক আহত হন। খবর পেয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কটির প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই বাস ও এর কর্মীদের মহিপুর থানায় আটকের খবর পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন তাঁরা।
ইসলামী আন্দোলনের আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, ‘ঘাতক বাসচালকের কঠোর শাস্তি দাবি করছি আমরা।’
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান।