গাজায় ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫০
Published: 24th, June 2025 GMT
গাজায় ত্রাণপ্রার্থী মানুষের উপর ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা অনলাইন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মঙ্গলবার ছিটমহলজুড়ে ত্রাণ বিতরণ স্থানে ফিলিস্তিনিরা যখন সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছিল, তখন এই হামলা চালানো হয়।
গত মাস থেকে বিতর্কিত ইসরায়েলি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত ত্রাণ বিতরণ পয়েন্টের কাছে প্রতিদিন ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার প্রধান এই বিতরণ কেন্দ্রগুলোকে ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
গাজার হাসপাতাল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, ভোর থেকে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি গুলিতে ৫০ জন নিহত হয়েছেন এবং সমগ্র অঞ্চলজুড়ে আরো ২১ জন নিহত হয়েছেন।
মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, মধ্য গাজার ওয়াদি গাজার দক্ষিণে সালাহ আল-দিন স্ট্রিটে একটি ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন, ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এবং আল জাজিরার সানাদ এজেন্সিরযাচাইকৃত ফুটেজে দেখা গেছে, নিকটবর্তী নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-আওদা হাসপাতালে মৃতদেহ আনা হচ্ছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চার গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সাঁকোটি পানির নিচে
পা দিলেই দুলে ওঠে সাঁকো। কাঠ ও বাঁশের এই সাঁকোটির কোথাও হেলে পড়েছে, আবার কোথাও ভেঙেছে। এই সাঁকো পার হতে গিয়ে প্রায়ই পা ফসকে হ্রদের পানিতে পড়ছেন অনেকে। এমন অবস্থা রাঙামাটির ভেদভেদী আনসার ক্যাম্প থেকে উলুছড়া গ্রামে যাওয়ার একমাত্র সাঁকোটির। এটি দিয়েই চারটি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। সম্প্রতি পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় সাঁকোটিও তলিয়ে গেছে। এ কারণে লোকজনের ভোগান্তি আরও কয়েক গুণ বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে ও পৌরসভার কিছু অনুদানে সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের দুই বছরের মধ্যেই এটি ভেঙে পড়ে। এর পর থেকে গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই প্রতিবছর সংস্কার করেন। এটি দিয়ে যাতায়াত করেন উলুছড়া, আলুটিলা, নতুনপাড়া ও কাটাছড়ি নিচপাড়া গ্রামের মানুষ। প্রতিবছর বর্ষায় কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়লে এই সাঁকো দিয়ে পারাপারে বিপত্তি বাঁধে। এ বছরও একই অবস্থা। সাঁকোর কোনো কোনো অংশ প্রায় তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
আমাদের কেনাকাটা, চিকিৎসা, স্কুলে যাওয়া—সবকিছুই এই পথে গিয়ে করতে হয়। এখন সাঁকোটি তলিয়ে যাওয়ায় চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কোথায় গেলে এর সমাধান পাব, তা জানা নেই। আমরা সেতু নির্মাণে সরকারের সহযোগিতা চাই।রবিধন চাকমা, কার্বারি (গ্রামপ্রধান), উলুছড়ি গ্রামউলুছড়া গ্রামের বাসিন্দা বিমল চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁদের গ্রামে যাতায়াতের একটাই রাস্তা, যেতে হয় এই সাঁকো পার হয়ে। এখন সাঁকোটি পানির নিচে। প্রতিদিন স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়ে, বৃদ্ধ মানুষজন, রোগীরা ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছেন। অনেক সময় লোকজন সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে যাচ্ছেন।’
কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় সাঁকোটি তলিয়ে গেছে। এরপরও সেটি দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের