জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখতে গাছের চারা বিতরণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের দুই শিক্ষার্থী। 

‘শহিদ স্মৃতি বৃক্ষায়ন’ নামে নিজস্ব উদ্যোগে এ অভিনব কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাবির সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো: আব্দুল আহাদ ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিকুল ইসলাম প্রতিক।

বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে এই গাছের চারা বিতরণ করেন তারা। 

আরো পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি, কিন্তু আমার লক্ষ্য কি?

গবিতে ছাত্রদলের কমিটি: ‘রাজনীতি মুক্ত’ নীতির কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক

এ কর্মসূচির আওতায় হলের প্রতিটি কক্ষে একটি করে মোট ১৩০টি গাছের চারা বিতরণ করেন তারা। প্রতিটা গাছের নাম একজন জুলাই শহীদের নামে নামকরণ করা হয়েছে। 

এ কর্মসূচির উদ্যোক্তা মো.

আব্দুল আহাদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ জীবন দিয়েছে। তাদের আত্মত্যাগকে বইয়ের পাতার বাইরে বাস্তব জীবনেও স্মরণীয় করে রাখতে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটা গাছই আমাদের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।”

তিনি আরো বলেন, “জুলাইয়ে ২ হাজারের বেশি শহিদ হয়েছেন। আমরা যেহেতু মোট ১৩০ গাছ বিতরণ করছি, আমাদের পক্ষে সব শহীদের নামে গাছ দেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য আমরা চেষ্টা করেছি, এখানে সব পর্যায়ের শহীদদের তুলে ধরতে। এখানে শহীদ আবু সাইদ থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা শহীদ নুর মোস্তফার নামও রয়েছে।”

আরেক উদ্যোক্তা তৌফিকুল ইসলাম প্রতিক বলেন, “আমরা প্রথম পর্যায়ে শুধু হলে গাছ বিতরণের কথা চিন্তা করছিলাম। পরে ভাবলাম জুলাইয়ের শহীদদের স্মৃতিকে জীবন্ত রাখতে তাদের নামে গাছের নামকরণ করি। এখানে প্রতিটা গাছ জুলাই স্মৃতির স্মারক হয়ে থাকবে। আমরা চাই, এর মাধ্যমে আমাদের কাছে শহীদদের অবদান চিরজীবী হয়ে থাকুক।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব তরণ কর স মরণ

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলে মিনি স্টেডিয়াম নিহত ফারুকের নামে করার দাবি

টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে নিহত বিএনপির নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ফারকের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) সকালে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে সদর উপজেলা বিএনপি ও দ্যাইনা ইউনিয়নের জনগণের উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে দ্যাইনা ইউনিয়নের বাসাখানপুর গ্রামে নির্মিত টাঙ্গাইল মিনি স্টেডিয়ামটি রফিকুল ইসলাম ফারকের নামে নামকরণের দাবি জানানো হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, নিহতের ভাই ও দ্যাইনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লাভলু, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আজিমুদ্দিন বিপ্লব প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনা ঢুকলে আমগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হবে: আখতার

কিছু দল হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিয়েছে: শামসুজ্জামান দুদু

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালে টাঙ্গাইলে হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে দ্যাইনা ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ফারুককে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেন। হাসিনার সরকার ক্ষমতা থাকার কারণে ফারুক হত্যার আসামিদের এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি। এই হত্যার সঙ্গে জড়িত টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন। ছানোয়ার হোসেন অন্য মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন।

বক্তারা বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেনকে ফারুক হত্যা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখালে হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে।

নিহত ফারুকের নামে সদর উপজেলায় বাসাখানপুর মিনি স্টেডিয়াম নামকরণের দাবি করেন বক্তারা। 
 

ঢাকা/কাওছার/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টাঙ্গাইলে মিনি স্টেডিয়াম নিহত ফারুকের নামে করার দাবি