টিলা ধসে মাটিতে আটকে পড়া শ্রমিককে উদ্ধার করলেন যুবক
Published: 28th, July 2025 GMT
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ভারী বৃষ্টির পর টিলা থেকে ধসে পড়া মাটি অপসারণ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। এ সময় সেখানে আবারও ধস নামে। এতে মাটিতে চাপা পড়েন এক শ্রমিক। এ ঘটনা দেখে তাঁকে উদ্ধার করতে আসেন প্রতিবেশী এক যুবক।
দ্রুত মাটি সরিয়ে ওই শ্রমিককে উদ্ধার করেন যুবক। এতেই প্রাণে বাঁচেন ওই শ্রমিক। আহত ওই শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের পাতিলাসাঙ্গন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাটির একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ধারকারী ওই যুবকের নাম সিদ্দিকুর রহমান। তবে আহত শ্রমিকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তাঁর বাড়ি পাশের ধামাই চা-বাগানে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন।
ভিডিওতে দেখা যায়, উঁচু টিলার নিচে কোমরসমান মাটিতে আটকে আছেন ওই শ্রমিক। সিদ্দিকুর রহমান কোদাল দিয়ে একটু একটু করে ওই ব্যক্তির আশপাশ থেকে মাটি সরাচ্ছেন। একপর্যায়ে হাত ধরে সেখান থেকে ওই শ্রমিককে টেনে তোলা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রিনা বেগম নামের এক নারী পাতিলাসাঙ্গন এলাকায় কিছু টিলাভূমি কেনেন। কয়েক মাস আগে টিলার একাংশ কেটে স্থানটি সমান করে সেখানে তাঁরা বসতঘর নির্মাণ করেন। টিলাটির উচ্চতা ২৫–৩০ ফুট। সম্প্রতি বৃষ্টিতে টিলা থেকে বেশ কিছু মাটি ধসে ঘরটির পেছনে পড়ে। গতকাল চারজন শ্রমিককে দিয়ে ওই মাটি অপসারণ করাচ্ছিলেন পরিবারের লোকজন। এ সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। একপর্যায়ে দুপুরের দিকে টিলার ওপর থেকে আরও কিছু মাটি ধসে পড়ে ওই শ্রমিক চাপা পড়েন। এ অবস্থা দেখে অন্য শ্রমিকেরা ভয়ে পালিয়ে যান। পরে চাপা পড়া শ্রমিকের চিৎকারে সিদ্দিকুর রহমান সেখানে গিয়ে উদ্ধার কাজে নামেন।
সিদ্দিকুর রহমান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মানুষটা (শ্রমিক) কোমরসমান মাটিতে আটকে ছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও উঠতে পারছিলেন না। কেউ তাঁকে উদ্ধারের সাহসও পাচ্ছিলেন না। মানুষটারে বাঁচানোটাই আমার কাছে বড় মনে হয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে কোদাল নিয়ে ছুটলাম। এরপর ধীরে ধীরে মাটি সরিয়ে মানুষটারে টেনে তুলেছি। লোকটার ডান পা মচকে গেছে। পরে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে শুনেছি।'
সাগরনাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শরফ উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, ফেসবুকে ভিডিও দেখার পর ঘটনাটির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। সিদ্দিক মানবিক কাজ করেছেন। তিনি তাড়াতাড়ি ছুটে না গেলে হয়তো বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স দ দ ক র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু
বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঢাকা/মামুন/বকুল