পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুইটি কোম্পানিরি ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করে তা প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানি দুইটি হলো- লুব-রেফ (বাংলাদেশ) পিএলসি ও কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্স পিএলসি।
বুধবার (৬ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
লুব-রেফ বাংলাদেশ: কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)। কোম্পানিটির দীর্ঘ মেয়াদে ‘বিবি+’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-৬’ রেটিং হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২৫ সালে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত ও গুণগত তথ্য অনুযায়ী এ ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্স: কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড (এনসিআর)। কোম্পানিটির দীর্ঘ মেয়াদে ‘এএএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-১’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২০২৫ সালের ২ আগস্ট পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক গুণগত তথ্য অনুযায়ী এ ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৪০৩ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
২০২৪ সালে জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৪০৩ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই নোটিশে বলা হয়েছে, সাত কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব না দিলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একতরফা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হওয়া সহিংসতায জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনাটি অধিকতর তদন্তের জন্য গঠিত কমিটির দ্বিতীয় সভায় ১২৮ জনসহ মোট ৪০৩ শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওই সময় করা অপরাধের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন তাঁদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে লিখিত জবাব বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টর কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে একতরফা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যাঁদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ সব হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন; মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আযহারুল ইসলাম মামুন; শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের কামাল উদ্দীন রানা ও সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকার; হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের শহিদুল হক শিশির ও মোহাম্মদ হোসেন; সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের তানভীর শিকদার; বিজয় একাত্তর হলের সজীবুর রহমান ও আবু ইউনুস; জগন্নাথ হলের কাজল দাস ও অতনু বর্মন; সূর্য সেন হলের মারিয়াম জামান খান সোহান ও সিয়াম রহমান; ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের জাহিদুল ইসলাম ও শরীফ আহনেদ মুনিম; অমর একুশে হলের এনায়েত এইচ মনন ও ইমদাদুল হক সোহাগ; ফজলুল হক মুসলিম হলের আনোয়ার হোসেন নাঈম ও আবু হাসিব মুক্তর নাম রয়েছে।
ছাত্রী হলগুলোর মধ্যে রোকেয়া হলের সভাপতি অন্তরা দাস পৃথা ও সাধারণ সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসাইন; শামসুন নাহার হলের খাদিজা আক্তার ও নুসরাত রুবাইয়াত নীলা; শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কোহিনূর আক্তার রাখি ও সানজিনা ইয়াসমিন; বেগম সুফিয়া কামাল হলের পূজা কর্মকার ও সভাপতি রিমা আক্তার ডলি; কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা ও সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আঁখি জান্নাতুল হাওয়া আঁখির নাম রয়েছে।
জানতে চাইলে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, যাঁদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে, তাঁদের সনদ বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে। এ বিষয়ে সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নোটিশটি মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।