’৭১-কে ’২৪-এর মুখোমুখি না দাঁড় করানোর আহ্বান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
Published: 6th, August 2025 GMT
’৭১ ও ’২৪— বাংলাদেশের ইতিহাসে দুটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কিন্তু এ দুটি ঘটনাকে পরস্পরের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে বিভাজনের রাজনীতি চালানোর অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ ধরনের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলেছে, ’৭১ ও ’২৪ কখনোই একে অপরের পরিপন্থী নয়। বরং ১৯৪৭ সালে ভূখণ্ড অর্জন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা এবং ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি— এই তিনটি অধ্যায় একই ধারাবাহিক মুক্তিসংগ্রামের অংশ।
সংগঠনটি বলেছে, ‘মুজিববাদী সংবিধানের ফলে সৃষ্টি ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে ২০২৪-এর অভ্যুত্থানে। তাই ’৭১ ও ’২৪— উভয়ই আমাদের গৌরবের অংশ। এই সংগ্রামগুলোর প্রত্যেকটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শ্রদ্ধাভরে স্বীকার করে ও সমভাবে সম্মান করে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, ’৭১ ও ’২৪-কে মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রয়াস আসলে ‘শাপলা ও শাহবাগের বাইনারি’ ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা, যার মাধ্যমে আবারও আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হয়। অথচ ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ছিল মুজিববাদী শাসনব্যবস্থা ও বাহাত্তরের ত্রুটিপূর্ণ সংবিধানের ভিত্তিতে গঠিত দুর্বল রাষ্ট্র কাঠামোর বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সংগঠনটি বলেছে, ‘এ ধরনের অপরাজনীতি ছাত্র-জনতা কখনই মেনে নেবে না। আমরা জাতীয় স্বার্থ ও জনকল্যাণের পক্ষে রাজনীতির আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায়, কেউ যদি আওয়ামী লীগকে প্রাসঙ্গিক করার লক্ষ্যে এমন অপচেষ্টা চালায়, তাহলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে নিয়ে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।’
আরও পড়ুনবাম সংগঠনগুলোর ঘৃণা মিছিল, ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত র জনত অপচ ষ ট র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্সের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে গত বৃহস্পতিবার ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স পিএলসির ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান তৌসিফ মাশরুরুল করিম। পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নুসরাত জাহান তানিয়া, মো. আশিক হোসেন ও স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ আয়ুব হুসেন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোকাররাম দাস্তগীর, কোম্পানির সচিব মো. আখতারুজ্জামান, এ কে এম মোস্তাক আহম্মেদ খান ও শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে মো. রেজাউল করিম, নিয়াজ আহমেদ, আজমত নিয়াজ ও হাসিব আহমেদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কোম্পানির ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত হিসাব ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় এবং কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪ সালে কোম্পানির প্রবৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রবৃদ্ধির এই গতিকে ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।