তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, কারণ জনগণ এটি চায়: ফখরুল
Published: 6th, August 2025 GMT
রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “জনগণই এখন নির্বাচন চায় এবং তারাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবচেয়ে বড় প্রহরীর ভূমিকা পালন করবে।”
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “১৯৯১ সালে একটি ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের পরে নির্বাচন হয়েছিলো। তখন তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। এখন এই নির্বাচন আরো সম্ভব, কারণ জনগণ এটি চায়।”
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব কি না, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জনগণই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সবচেয়ে বড় প্রহরী হয়ে দাঁড়াবে।”
তিনি বলেন, “আমরা ও পুরো জাতি মনে করে, দ্রুত নির্বাচনই একমাত্র পথ, যা দিয়ে আমরা বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ করে গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে পারি।”
তিনি আরো বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস এখন পর্যন্ত যতগুলো কাজ করেছেন, তাতে তিনি প্রমাণ করেছেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য উনি এমন কিছু করবেন না, যাতে করে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “গতকালের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সংবিধানের যাবতীয় সংস্কার-সংশোধনী বাস্তবায়ন করবে। এটিই বৈধ, আইনি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া।”
ঢাকা/কেএন/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জাতীয় পার্টির
গতকাল ৫ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থাপন করা ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’র প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে জাতীয় পার্টি।
দলটি বলেছে, জুলাই ঘোষণাপত্র বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
বুধবার (৬ আগস্ট) জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু যৌথ বিবৃতিতে এ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।
তারা বলেছেন, “জাতীয় পার্টি মনে করে, এই ঘোষণাপত্রে জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক নিশ্চয়তার মতো মৌলিক দাবিগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা আমাদের দলের মৌলিক আদর্শের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।”
“জাতীয় পার্টি এই ঘোষণা অনুযায়ী গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আস্থা প্রকাশ করছে এবং প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার ও একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ,” যোগ করেন নেতারা।
জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা বলেন, “জাতীয় পার্টি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করছে যে, শহীদদের আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যেতে পারে না। আমরা তাদের জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, আহত ও নিহতদের আইনি সুরক্ষা এবং দোষীদের বিচারের দাবির সাথে একমত।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “জাতীয় পার্টি বিশ্বাস করে, এই ঘোষণাপত্র আগামী দিনে গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও টেকসই রাষ্ট্রের ভিত্তি রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এই ঘোষণাপত্রের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও একাত্মতা ঘোষণা করা হলো।”
আরো বলা হয়, “জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে বর্তমান জাতীয় পার্টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, গণতান্ত্রিক, সুশাসিত ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের জন্য এই ঘোষণাপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক