ট্রাম্প-সি কারও সঙ্গে সম্পর্ক টিকল না, একলা চলবেন মোদি?
Published: 10th, August 2025 GMT
নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে স্বাগত জানাতে লালগালিচা বিছিয়ে দিয়েছিলেন। নিজের দেশে চীনা নেতার সঙ্গে নদীর তীরে দোলনায় বসে গল্প করেছিলেন এই আশায় যে চীনের মতো ভারতও একদিন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করবে।
কিন্তু মোদি ও চিন পিংয়ের সেই দোলনাঝুলনের পরপরই সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে ভয়ংকর উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। সংঘাত হয়েছিল। সেই সংঘাতের সময় চীন ভারতের অনেকখানি ভূমি দখল করে নিয়েছিল।
ওই ঘটনা মোদিকে বিব্রত করে এবং হিমালয় অঞ্চলের উচ্চভূমিতে কয়েক বছর ধরে হাজার হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন রাখতে বাধ্য করে। এটি ভারতের অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করে।
ওই ঘটনার পর মোদি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকলেন। শীতল যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ধীরে ধীরে উষ্ণ হতে থাকা সম্পর্ককে দ্রুত এগিয়ে নিতে মোদি নিজের রাজনৈতিক পুঁজি খরচ করলেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেই তাঁর সঙ্গে মোদির এমন সম্পর্ক গড়ে উঠল যে তিনি প্রটোকল ভেঙে হিউস্টনের স্টেডিয়ামে ভরা জনসমাবেশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য ভারতীয় মার্কিন ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে বসলেন।
আরও পড়ুনট্রাম্প আসলে ভারতকে ততটা গুরুত্বই দেননি০৯ আগস্ট ২০২৫সেবার ট্রাম্প হেরে যাওয়ার পর জো বাইডেন এলেন। বাইডেন প্রশাসন দলীয় রাজনীতি উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে চীনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অংশীদারি হিসেবে আরও সম্প্রসারণ করতে লাগল। মোদি এক যৌথ অধিবেশনে বলেছিলেন, ‘“এ.
কিন্তু হঠাৎ ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এসে মোদির জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ট্রাম্প ভারতকে নিশানা করে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, কারণ, ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনছে। ট্রাম্প ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তানের নেতৃত্বকে ভারতের সমান মর্যাদা দিয়েছেন; যদিও এর আগে তিনি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক বলেছিলেন। কিছুদিন আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে লড়াই বেঁধে যায় এবং কয়েক দিন পর দুই দেশ অস্ত্রবিরতিতে যায়। ট্রাম্প দাবি করেছেন, তাঁর মধ্যস্থতায়ই ভারত-পাকিস্তান বিরোধ মিটেছে।
ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপের পর ট্রাম্প ও মোদির সম্পর্কের বিষয়টি ফের আলোচনায় এসেছেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু জিনিয়ার হৃদ্যন্ত্রের ছিদ্রের চিকিৎসায় সহায়তা প্রয়োজন
মাত্র চার লাখ টাকায় সুস্থ হয়ে যেতে পারে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জিনিয়া আক্তার (১১)। চলতি বছরের শুরুতে তার হৃদ্যন্ত্রে ছিদ্র শনাক্ত হয়েছে। এ জন্য জরুরি অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না।
জিনিয়া নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কলমদার গ্রামের আবদুল জব্বারের মেয়ে। আবদুল জব্বার পেশায় গ্রাম পুলিশ।
আবদুল জব্বার বলেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া চার শতাংশ ভিটেবাড়িই তাঁর একমাত্র সম্বল। পরিবারে বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গ্রাম পুলিশের চাকরি করে মাসে সাত হাজার টাকা বেতন পান। এই আয়ের ওপর নির্ভর করে কোনোরকমে চলে তাঁর সংসার।
এমন পরিস্থিতিতে মেয়ের জীবন বাঁচাতে দেশের হৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন আবদুল জব্বার। জিনিয়ার জন্য সহায়তা পাঠানো যাবে আবদুল জব্বার, হিসাব নম্বর; ৫৩০৫৮৩৪১২৬৪২৩, সোনালী ব্যাংক, ডোমার শাখা, নীলফামারী। মুঠোফোন নম্বরে— 01774644253 (বিকাশ)।